জঙ্গল সাফ করতে গিয়ে উদ্ধার প্লাস্টিক বন্দি ১৪টি ভ্রূণ। হরিদেবপুর থানা এলাকা থেকে রবিবার উদ্ধার হয়েছে এই ভ্রূণগুলি। জানা গিয়েছে, ভ্রূণগুলি নিয়ে যাওয়া হয়েছে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে।
সূত্রের খবর, হরিদেবপুর থানা এলাকার নীলাচল পল্লীতে প্রায় ২২ কাঠার একটি জমি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বহুদিন ধরেই পাঁচিল দিয়ে ঘেরা ছিল ওই জমি। রবিবার জমি পরিষ্কার করতে যান পুরসভার সাফাইকর্মীরা। আর তখনই উদ্ধার হয় প্লাস্টিক বন্দি ভ্রূণ। পুলিশ জানিয়েছে, আলাদা আলাদা প্লাস্টিকে মোড়া ছিল ১৪টি ভ্রূণ। বরফ দিয়ে রাখা হয়েছিল প্লাস্টিকের মধ্যে। যাতে পচন ধরে এলাকায় দুর্গন্ধ না ছড়ায় সে জন্য সতর্কতা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল রাসায়নিকও। জমি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর মদের বোতলও। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই জমিতে রাতের অন্ধকারে প্রায়ই বসত জুয়া এবং মদের আসর
এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিদেবপুরের রাজা রামমোহন রায় রোড লাগোয়া এলাকায়। আতঙ্কিত বাসিন্দারা খবর দেন স্থানীয় কাউন্সিলরকে। তিনি বিষয়টি জানান মেয়র এবং স্থানীয় বিধায়ককে। খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। আসেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে উঠে এসেছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ জানিয়েছে, ওই জমির মধ্যে রয়েছে একটি ডোবা। তাদের অনুমান সেখানেও থাকতে পারে ভ্রূণ। তদন্তের সাপেক্ষে সেখানেও তল্লাশি চালাতে পারে পুলিশ।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান আশেপাশের কোনও নার্সিংহোম বা ক্লিনিক এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। এমনকী বেআইনি গর্ভপাতের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান করছে পুলিশ। আপাতত ওই জমিতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। স্থানীয় নার্সিংহোমগুলিতেও চলছে পুলিশি অভিযান।
Be the first to comment