মরসুমের প্রথম ডার্বি অমীমাংসিত, ২-২ গোলেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো গঙ্গাপাড়ের দুই ক্লাবকে!

Spread the love
পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ফ্রি-কিক থেকে গোলের গন্ধ পান বাগানের হেনরি। ডাগারের সেভে স্বস্তিতে লাল-হলুদ জনতা। এই প্রথম বড় ম্যাচে কোনও বিশ্বকাপার। দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে সময় কাটিয়ে যুবভারতীতে ভারতীয় ফুটবলে অভিষেক হল কোস্টারিকান জনি অ্যাকোস্টার। তাই ডার্বিতে ডিকা বনাম জনির লড়াই দেখার আগ্রহ ছিল।
সেই মঞ্চেই বাগান এগিয়ে যায় বঙ্গসন্তান পিন্টু মাহাতর গোলে। ম্যাচের বয়স তখন ১৯ মিনিট। টিডি সুভাষের উপর চাপ বাড়ছিল। কারণ, লাল-হলুদের মাঝমাঠে বল হোল্ড করার কাউকে পাওয়া যাচ্ছিল না। বিশেষ করে প্রথমার্ধে বেশ ফ্যাকাশে আল আমনা। ২৯ মিনিটে বাগানের পক্ষে স্কোরলাইন ২-০ হয়ে যায় ৷ গোল করেন  হেনরি।
একচল্লিশ মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে লালরিনডিকা রালতে। ছেচল্লিশ মিনিটে ম্যাচে সমতায় ফিরল ইস্টবেঙ্গল। প্রথম ম্যাচেই গোল জনি অ্যাকোস্টার। তবে বিশ্বকাপারকে এই গোল গিফট করলেন বাগান গোলকিপার শিল্টন পাল। তাঁর ভুলেই লিগের বড় ম্যাচের প্রথম পয়তাল্লিশ মিনিটে গোল খেল মোহনবাগান।
প্রথমার্ধ খেলল মোহনবাগান আর দ্বিতীয়ার্ধে খেলল ইস্টবেঙ্গল ৷ তবে জয় লক্ষ্মী ধরা দিল না কোনপক্ষের কাছেই ৷ মোহনবাগান প্রথমার্ধে দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরেও ম্যাচ জিতে আনতে পারল না ৷ অন্যদিকে অদম্য মনোভাবে পিছিয়ে পরার পরেও সমতা ফেরায় ইস্টবেঙ্গল ৷ কিন্তু তিন পয়েন্ট তারাও পেল না ডার্বি থেকে ৷
তবে তাদের কাছে মানসিক জয় শিলিগুড়ি থেকে টানা একটা ডার্বিও হারল না তারা ৷ রবিবার কলকাতা লিগের বড় ম্যাচ এক কথায় জমজমাট। যুবভারতীতে শুরু থেকেই টানটান লড়াই। প্রথমার্ধে যথেষ্ঠ প্রধান্য সবুজ-মেরুনের।
এদিকে ২-১ পিছিয়ে দ্বিতীয়ার্ধ খেলতে নামা ইস্টবেঙ্গল যেন অন্য এক দল ৷ মোহনবাগানের নিয়ন্ত্রণ থেকে দারুণ দক্ষতায় ম্যাচ বার করে নিতে শুরু করেন ৷ ব্র্যান্ডন -চুল্লোভারা ৷
৬১ মিনিটে দারুণ কর্ণার রাখেন লালরিনডিকা রালতে ৷ কলকাতা মাঠে বিশ্বকাপার নয় দেশীয় প্লেয়ার বিশ্বমানের গোল করে দেখান ৷
এরপর অবশ্য মাঠে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে৷ ডানমাবিয়াকে ফাউল করা হলেও কোনও কার্ড দেখাননি রেফারি ৷ এরপরেই আল আমনা এবং শিলটন পাল গন্ডগোলে জড়িয়ে পড়েন ৷ রেফারি অবশ্য দু‘জনকেই হলুদ কার্ড দেখান ৷
এরপর অবশ্য গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারেনি কোনও পক্ষই ৷ ডার্বি ড্র হওয়ায় ১-১ পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিল দু‘দলই ৷ ৮ ম্যাচে দু‘জনের পয়েন্টই ২০। তবে বেশি গোল দেওয়ায় মোহনবাগান লিগ টেবলের এক নম্বরে রয়েছে ৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*