ঘর থেকে মিলল দাদার অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ। একই ঘর থেকে অচৈতন্য দুই বোনকে উদ্ধার করা হল । হাতের শিরা কাটা অবস্থায়। সোমবার সকালে ময়ুরেশ্বর থানার ব্রাহ্মণ বহড়া গ্রামে এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে দুই বোনকে। কী কারণে এমন ঘটনা ধন্দে রয়েছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাবাকে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত বৃন্দাবন মণ্ডল (৩৭) পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। দুই বোন সাথী মণ্ডল এবং বাণেশ্বরী মণ্ডল, দুজনেরই বয়স ৩০ এর মধ্যে। তিন ভাইবোনই অবিবাহিত। রবিবার রাতে তাঁদের বাবা প্রভাত মণ্ডল জন্মাষ্টমী উপলক্ষে কীর্তন করতে গিয়েছিলেন। ভোরবেলায় তিনি বাড়ি ফিরে এসে দেখেন জানলা দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে। এরপরেই ঘরের মধ্যে ছেলের অগ্নিদগ্ধ দেহ দেখতে পান তিনি। দেখেন, দুই মেয়ের হাতের শিরা কাটা। রক্তাক্ত অবস্থায় অচেতন হয়ে পড়ে রয়েছে তাঁরা। ছেলে মেয়েদের ওই অবস্থায় দেখে চিৎকার করতে থাকেন তিনি।
গ্রামবাসীরা ছুটে আসে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দুই তরুণীকে চিকিৎসার জন্য ময়ূরেশ্বর হাসপাতালে পাঠায়। অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় সেখান থেকে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয় তাঁদের। বৃন্দাবনের দেহের ময়নাতদন্ত হয় রামপুরহাট হাসপাতালে। বাসিন্দারা জানান, কয়েক বছর আগেই প্রভাতবাবুর স্ত্রী মারা যান। তিন ভাই বোন অবসাদে ওই কাণ্ড ঘটিয়েছে, না কি তাঁদের মারার চেষ্টা হয়েছে তা এখনও পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়। ময়ুরেশ্বর থানা পুলিশ জানিয়েছে ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।
Be the first to comment