ব্যাঙ্কক, সিঙ্গাপুর, শ্রীনগরের পর এবার শহর কোলকাতা। হ্যাঁ, খোদ কোলকাতাতেই এবার চালু হতে চলেছে ভাসমান বাজার। সত্যি, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এ এক অভিনব প্রয়াস। কেএমডিএর প্রচেষ্টায় ইএম বাইপাসের কাছে খুব শীঘ্রই চালু হতে চলেছে এই ভাসমান বাজার। প্রায় ৯ কোটি টাকা খরচ করে গড়িয়ার পাটুলির কাছে একটি জলাশয়ের উপরে গড়ে তোলা হবে এই বিশেষ বাজার। কেএমডিএ র তরফ থেকে জানানো হয়েছে প্রায় ১১৪টি বোটে করে বিক্রি করা হবে নিত্য প্রয়োজনীয় সব সামগ্রী। ১১৪টি বোটের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৩৪টি বোট কিনে নেওয়া হয়েছে, বাকীগুলি চলতি মাসের শেষেই চলে আসবে কেএমডির হাতে। বোটগুলিকে অত্যাধুনিক ভাবে সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বোট গুলি দশ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট হবে বলে জানা গিয়েছে। চকচকে বোটগুলি দেখলেই ক্রেতাদের মনে পড়ে যাবে পটায়ার কথা। বাজারে পাওয়া যাবে শাকসব্জি, ফল, মাছ, মাংস থেকে শুরু করে চাল, ডাল, চা, ভোজ্য তেলের মতো প্রয়োজনীয় সামগ্রী। ভাসমান এই বাজারে দেখতে পাওয়া যাবে প্রায় ২০০ জনেরও বেশী বিক্রেতাকে। সারাদিন অর্থাৎ ২৪ ঘন্টাই খোলা থাকবে ভাসমান বাজার। প্রসঙ্গত, ইএম বাইপাসের প্রশস্তিকরণের সময় পাটুলি এলাকার যে সমস্ত হকারদের উচ্ছেদ করা হয়েছিল, তাদেরই এই কর্মযজ্ঞে সামিল করা হবে। বিগত ৩ বছর আগেই এই বিশেষ বাজার তৈরীর কথা ভেবেছিল কোলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অর্থাৎ কেএমডিএ। পাশাপাশি, জলাশয়ের উপর একটি সেতুও তৈরী করা হবে। ভাসমান বাজারকে আরো আকর্ষনীয় করে তোলার জন্য তৈরী করা হবে শৌচাগারও। সাধারন মানুষের যাতে কোনোরকম অসুবিধা না হয় সেদিকেও বিশেষ ভাবে নজর দেবে কেএমডিএ।
অন্যদিকে ভাসমান বাজারের এই উদ্দ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানান, এই বাজার আর পাঁচটা সাধারন বাজারের মতো, কিন্তু পার্থক্য গড়ে দেবে এই বাজারের ভাসমানতা। পাটুলির মতো রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পরবর্তীকালে ভাসমান বাজার তৈরী করা হবে বলেও আশ্বাস দেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
Be the first to comment