এত দিন নয়া উদারবাদী অর্থনীতি, সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী লড়াইয়ে কংগ্রেসের প্রাসঙ্গিকতা, দক্ষিণ এশিয়ায় আন্তর্জাতিক লগ্নি পুঁজির অনুপ্রবেশ ইত্যাদি, প্রভৃতি নিয়ে তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব চলত সিপিএমে। এ বার যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ নিয়েও দু’ভাগ হয়ে গেল সিপিএম কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
কেরলের এক ডিওয়াইএফআই নেত্রী যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছেন দলেরই এক বিধায়কের বিরুদ্ধে। গত মাসে যুব সংগঠন এবং দলের কেরল রাজ্যকমিটিতে অভিযোগ জানান তিনি। অভিযুক্ত বিধায়কের নাম পিকে শশী। এ বারই প্রথম সিপিএমের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন শশী। ওই যুবনেত্রী অভিযোগ করেন, পালাক্কাড়ের মানাকৌডে দলের এরিয়া কমিটির দফতরে তাঁকে যৌন হেনস্থা করেন ওই বিধায়ক। এরপর রাজ্যস্তরে বিষয়টি নিয়ে নড়াচড়া না হওয়ায় ওই যুবনেত্রী সোজা চিঠি পাঠালেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে। সোমবার সিপিএমের কেন্দ্রীয় দফতর একে গোপালন ভবনে এই চিঠি এসে পৌঁছয়। মঙ্গলবার সীতারাম সেই চিঠি পাওয়ার সত্যতা স্বীকার কর নেন। সিপিএম সাধারণ সম্পাদক বলেন, “দলের নিয়মানুযায়ী তদন্তের জন্য ওই চিঠি কেরল রাজ্যকমিটিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই পর্যন্ত ঠিকই ছিল। কিন্তু সীতারামের বক্তব্যে জল ঢেলে দিয়েছেন সিপিএম পলিটব্যুরোর অন্য এক সদস্যা বৃন্দা কারাট। প্রকাশ-পত্নী বলেন, ‘কিছু সংবাদমাধ্যম বলছে, কেরলের এক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি সম্পর্কে ওঠা অভিযোগ নিয়ে পার্টি কেন্দ্র হস্তক্ষেপ করেছে। কিন্তু এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। একে গোপালন ভবন কেরলের এই ধরনের কোনও ঘটনা নিয়ে হস্তক্ষেপ করে কোনও সুপারিশ করেনি।” বৃন্দার এই বক্তব্যে আরও একবার সামনে চলে এল ইয়েচুরি বনাম কারাট শিবিরের লড়াই।
এরপর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে তাহলে কি অভিযুক্ত বিধায়ক কারাট শিবিরের লোক? কী কারণে যৌন হেনস্থার মতো মারাত্মক অভিযোগ নিয়ে নির্বিকার মহিলা নেত্রী বৃন্দা কারাট?
অভিযুক্ত বিধায়ক শশী অবশ্য দাবি করেছেন, “তাঁর বিরুদ্ধে সংগঠিত ষড়যন্ত্র হচ্ছে।” সিপিএমের কেরল রাজ্য সম্পাদক কেডিয়ারি বালাকৃষ্ণন অবশ্য অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন
Be the first to comment