নেতৃত্বে রোমিও আর ম্যাক্স। তাদের সঙ্গে আছে আরও চার সৈনিক। মাঝেরহাট ব্রিজের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে খুঁজছে, কোনও মানুষ চাপা পড়ে আছে কিনা। দীর্ঘ ২৪ ঘন্টার বেশি কাজ করেছে তারা। খুব ক্লান্ত হয়ে পড়লে ঘুমিয়ে নিচ্ছে নিউ আলিপুর রেলস্টেশনে।
এই দক্ষ ত্রাণকর্মীরা মানুষ নয়। কুকুর। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে গন্ধ শুঁকে চাপা পড়া মানুষকে খুঁজে বার করার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে তাদের।
রোমিও জাতে ল্যাব্রাডর। ম্যাক্স হল জার্মান শেফার্ড। তাদের চার সহকর্মীর নাম জুলি, জ্যাংগো, বেলা আর রুবি। তারা জাতে ল্যাব্রাডর।
হরিণঘাটায় এনডিআরএফের শিবিরে তারা থাকে। বয়স দুই থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে। মঙ্গলবার ব্রিজ ভেঙে পড়ার পরে সন্ধ্যা সাতটা থেকে তারা কাজ শুরু করেছে। তাদের ট্রেনার জানিয়েছেন, কুকুরগুলিকে ধ্বংসস্তূপের কাছে এনে গলার বাঁধন খুলে দেওয়া হয়েছিল। তারা পুরো ধ্বংসস্তূপ ঘুরে দেখল ১০ মিনিট ধরে। তারপর এক জায়গায় গিয়ে শুরু করল চিৎকার। ট্রেনার সঙ্গে সঙ্গে ত্রাণকর্মীদের সতর্ক করলেন। তাঁরা বুঝলেন, কেউ নীচে চাপা পড়ে আছে। সেখানে ড্রিল করা শুরু হল। মঙ্গলবার সারা রাত, বুধবার দিনভর কুকুররা কাজ করেছে।
[9/6, 2:37 PM] Ashis Rojdin: এনডিআরএফের ডেপুটি কম্যান্ডার সন্দীপ গাদভি জানিয়েছেন, পাহাড়ে ধস বা কাদার ধসের নীচ থেকেও ওই কুকুররা মানুষকে খুঁজে বার করতে পারে।
Be the first to comment