যেই দোষী হোক না কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবেঃ মুখ্যমন্ত্রী  

Spread the love
মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার ঘণ্টাখানেক পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, সম্ভবত মেট্রো রেলের কাজের জন্যই দুর্বল হয়ে পড়েছিল সেতুটি। তবে সে ছিল একেবারেই প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া। এ ব্যাপারে বিশদ অনুসন্ধানের জন্য বৃহস্পতিবার মুখ্য সচিব মলয় দে-র নেতৃত্বে হাইপাওয়ার কমিটি গঠন করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংশিষ্ট বিভাগের অনান্য প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিরাও থাকবেন কমিটিতে। কমিটি সাত থেকে আট দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে বলেন, “কুড়িটি ব্রিজের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়, সেগুলো দ্রুত সারাতে হবে। প্রশাসনকে সেই নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু মানুষকেও সহযোগিতা করতে হবে।” পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান কোনওভাবেই ১০ থেকে ২০ চাকার গাড়ি ব্রিজের উপর চলতে দেওয়া হবে না।
সংশ্লিষ্ট ব্রিজগুলির তালিকা অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী পড়ে শোনাননি। তবে কিছু উড়ালপুলের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। যেমন তিনি জানান, শিয়ালদহ ফ্লাইওভারের অবস্থা ভাল নয়। সরকার চেয়েছিল তা মেরামত করতে। কিন্তু ওই ফ্লাইওভারের তলায় প্রচুর দোকান রয়েছে। তাদের বার বার বলা সত্ত্বেও উঠছে না। পুরসভাকে এ বার বলা হয়েছে, ওদের ওঠানোর ব্যবস্থা করতে। যতদিন না কাজ শেষ হয় দোকানিদের অন্যত্র বসার জায়গা দেওয়া হবে। এছাড়া বেলগাছিয়া, উল্টোডাঙা, ঢাকুরিয়া, সাঁতরাগাছি, চিংড়িঘাটা ব্রিজের প্রসঙ্গ তোলেন মমতা।
কলকাতা সহ গোটা রাজ্যের সেতু ও উড়ালপুলগুলির বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এ দিন নবান্নে বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পর তিনি জানান, রাজ্যের সিংহভাগ সেতুই বাম জমানায় বা ব্রিটিশ জমানায় হয়েছে। ফলে শুধু বর্তমান সরকারের ঘাড়ে দোষ চাপালে হবে না। ব্রিটিশরা নিশ্চয়ই কিছু ভাল সেতু তৈরি করেছিল। কিন্তু সমস্যা হল, সেই সব ব্রিজের নকশা বা কাগজপত্রের হদিশ নেই। তার ফলে মেরামত করতে গিয়ে অসুবিধা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন রেল হোক বা পিডব্লিইউডি কাউকেই রেয়াত করা হবে না। যেই দোষী হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজ্যের সমস্ত সেতু ও উড়ালপুল রক্ষণাবেক্ষণ ও তাদের নিয়মিত পরীক্ষা করার ব্যাপারে এদিন দফতর ওয়াড়ি মনিটরিং সেলও তৈরি করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যেমন, পূর্ত দফতরের অধীনে যে ব্রিজগুলি রয়েছে তা সংশ্লিষ্ট দফতরের মনিটরিং সেল দেখভাল করবে। একই ভাবে সেচ দফতর, কেএমডিএ-ও মনিটরিং সেল তৈরি করবে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*