শহরে ফের ডেঙ্গুর বলি এক। বৃহস্পতিবার এনআরএস হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে সল্টলেকের দত্তাবাদের বাসিন্দা এক ১০ বছরের ছেলের। কলকাতায় এই নিয়ে ডেঙ্গুর ফলে মৃত্যু হলো দু’জনের। এবং দু’জনেই দত্তাবাদের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, মৃত বাচ্চাটির মা এবং দেড় বছরের বোনও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। সল্টলেকেরই দুই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে এই দু’জনের।
গত রবিবার থেকেই জ্বরে ভুগছিল তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া আকাশ চৌধুরী। বিধাননগর সাব-ডিভিশনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সোমবার ডেঙ্গুর পরীক্ষা করা হয় তার। রিপোর্টে দেখা যায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে আকাশ। মঙ্গলবার তাকে ভর্তি করা হয় এনআরএস হাসপাতালে। এনআরএস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাচ্চাটিকে যখন ভর্তি করা হয়েছিল তখনই তাঁর পালস রেট খুব দুর্বল ছিল। কমে গিয়েছিল রক্ত চাপও। প্লেটলেট কাউন্ট পৌঁছেছিল ৭০ হাজারে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিল বাচ্চাটি। প্লেটলেট কাউন্টও পৌঁছেছিল ৮০ হাজারে। তবে আচমকাই নাক দিয়ে রক্ত পড়তে শুরু করে আকাশের। শরীরের অন্যান্য অংশ দিয়েও বেরোতে থাকে রক্ত। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে মৃত্যু হয়েছে আকাশের।
এই ঘটনার এক সপ্তাহ আগে এই দত্তাবাদেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিল আরেকটি বাচ্চা। ১০ বছরের সেই ছেলেটির নাম ছিল নারায়ণ শ্রেষ্ঠ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সল্টলেকের দত্তাবাদ এবং লাবণী সংলগ্ন এলাকায় বেশ কয়েকজন জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। বাসিন্দাদের অনুমান, সম্ভবত তাঁরাও ডেঙ্গুতেই আক্রান্ত হয়েছেন। বারবার একই এলাকায় ডেঙ্গুর হানায় স্বভাবতই বিক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা। ইএম বাইপাসের উপর ঘণ্টা খানেক অবরোধও করেন তাঁরা। এরপর ঘটনাস্থলে যান বিধায়ক সুজিত বসু। তিনি গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন। এরপর ওঠে অবরোধ। তবে বারবার সল্টলেকে ডেঙ্গু হানার ফলে এলাকা কতটা নিরাপদ সে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।
Be the first to comment