ছাত্র এবং অধ্যাপক। দুটি সংগঠনেই যেন কী লেগেছিল তৃণমূলের। ছাত্র সংগঠনের সভাপতির পদে নতুন কাকে বসানো হবে তা ঠিক করে ফেলার পর এ বার অধ্যাপক সংগঠনের ক্ষততেও প্রলেপ দিয়ে দিল বাংলার শাসক দল। গত ৮ মার্চ ওয়েবকুপার রাজ্য কমিটি ভেঙে দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার গঠিত হলো নতুন কমিটি।
গতকাল, তপসিয়ার তৃণমূল ভবনে দলের মহাসচিব তথা শিক্ষা সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ১৩০জন অধ্যাপক-অধ্যাপিকার উপস্থিতিতে ৬৫ জনের কমিটি তৈরি হয়। পুনরায় অধ্যাপক সংগঠনের সভাপতি করা হয়েছে কৃষ্ণকলি বসুকে। কমিটিতে ঠাঁই হয়নি আগের কমিটিতে থাকা আল আমিন মিশনের অধ্যাপিকা তথা মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুধু বৈশাখী নয়, সংগঠনের ভিতর বিরুদ্ধ স্বর তোলা আরও এক অধ্যাপক গোবিন্দ সাধুখাঁকে। প্রসঙ্গত, বৈশাখী এবং গোবিন্দ ছিলেন আগের কমিটির যুগ্ম সম্পাদক।
রাজনৈতিক মহলের মতে, অধ্যাপক সংগঠনের কমিটিতে মেয়রের বান্ধবীকে না রেখে আসলে মেয়রকেই বার্তা দিল দল। কিন্তু তাতে যে তাঁর বা তাঁদের বিশেষ কিছু এসে যায় না তাও বলছেন অনেকেই। তৃণমূলের এক নেতার কথায়, ‘এত বছর রাজনীতি করার পর যিনি বলতে পারেন বৈশাখীর জন্য রাজনীতি ছেড়ে দেবেন কিন্তু বৈশাখীকে ছাড়বেন না, তাঁর এসবে কিছু যাবে আসবে না।”
তৃণমূল সূত্রের খবর, ওয়েবকুপার সদস্য সংখ্যা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী তথা দলের মহা সচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থবাবু বৈঠকে বলেন, রাজ্যে পরিবর্তনের পর কলেজে কলেজে ৫ হাজারের বেশি অধ্যাপক-অধ্যাপিকা নিয়োগ করা হয়েছে। আর শাসক দলের অধ্যাপক সংগঠনের সদস্য সংখ্যা ১৯৫৩ জন। জানা গিয়েছে, পার্থবাবু আক্ষেপের সুরেই সভায় বলেন, “তাহলে কি আমরা নতুন শিক্ষকদের সংগঠনে আকর্ষN করতে পারছি না!”
মূলত হিসেব সংক্রান্ত বিষয় নিয়েই অধ্যাপক সংগঠনের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছিল। সেই সময়েই শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে ভেঙে দেওয়া হয় কমিটি। কৃষ্ণকলি বসুদের বিরোধী গোষ্ঠীর দাবি, বৃহস্পতিবারের সভাতেও নাকি হিসেব পেশ হয়নি। দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নবগঠিত ৬৫ জনের কমিটিই গঠন করবে কার্যকরি কমিটি ।
Be the first to comment