গোরক্ষার নামে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গণপিটুনির ঘটনা রুখতে রাজ্যগুলি কী ব্যবস্থা নিয়েছে, এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার একটি মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার সঙ্গে এও জানিয়ে দিয়েছে, এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা না দিলে ডেকে পাঠানো হবে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবদের।
২০ জুলাই হরিয়ানায় গরু পাচারকারী সন্দেহে পিটিয়ে মারা হয় রাকবর খান নামের এক যুবককে। এরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জাতীয় রাজনীতি। কংগ্রেস নেতা তেহসীন পুনাওয়ালা মামলা দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টে। যদিও তার আগেই দেশের শীর্ষ আদালত এই গণপিটুনির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছিল, ‘আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে এই ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা চলতে পারে না।’
কেন্দ্রের তরফে শুক্রবারের শুনানিতে জানানো হয়েছে, গণপিটুনির ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি দীপককুমার মিশ্র, বিচারপতি এ এম খাউইলকর এবং বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন জানায়, ১১ টি রাজ্য এবং ৭টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ছাড়া আর কেউ রিপোর্ট জমা দেয়নি।
প্রসঙ্গত, সরকারি তথ্য অনুযায়ী গত এক বছরে দেশের ৯টি রাজ্যে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে গণপিটুনিতে। বিরোধীদের অভিযোগ, এই সবকটি রাজ্যই বিজেপি শাসিত। সংসদের বাদল অধিবেশনে গণপিটুনি ইস্যুতে সমস্ত বিরোধীরা এককাট্টা হয়ে চেপে ধরেছিল সরকারকে। উত্তাল হয়েছিল লোকসভা এবং রাজ্যসভা। এ বার সেই ইস্যুতেই কড়া মনোভাব দেখাল দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
বিরোধীদের অভিযোগ, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে মহল্লায় মহল্লায় গোরক্ষার নামে নীতি পুলিশদের দাদাগিরি চলছে। যার মধ্যে দিয়ে ঘৃণা এবং বিদ্বেষের বাতাবরণ তৈরি করা হচ্ছে সচেতনভাবে। গোরক্ষার নামে গণতাণ্ডবে এ বার সুপ্রিম কোর্টের এই অবস্থানের পর বিজেপই শাসিত রাজ্যগুলি কী রিপোর্ট পাঠায় এখন সেটাই দেখার।
Be the first to comment