ব্রেকফাস্ট খেতে সবে শুরু করেছিলেন অমলেশ। বয়স বছর ৩২। হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন তিনি। নার্স এসেই সার্ভ করে গেছে পাঁউরুটি, ভাত ও সব্জির কারি। এক চামচ ভাত মুখে তুলতে গিয়েই চোখ কপালে অমলেশের। একি? ভাতের মধ্যে কিলবিল করছে পোকা।
ঠিক, একই রকম অভিজ্ঞতা রেশমিরও। তাঁর স্বামীও ভর্তি হাসপাতালের ওই একই বিভাগে। সকালে নিজের স্বামীকে খাইয়ে দিচ্ছিলেন রেশমি। তিনিও খাবারের প্লেটে দেখেন পোকা ভর্তি। ততক্ষণে বেশ অনেকটা ভাত স্বামীকে খাইয়েও দিয়েছেন তিনি।
হাসপাতালের খাবার নিয়ে অভিযোগ চিরকালের। কখনও পচা খাবার, আবার কখনও খাবারে পোকা ইত্যাদি অভিযোগ লেগেই থাকে। কিন্তু, এই দু’টি ঘটনা যে হাসপাতালে ঘটেছে সেটা দিল্লির সবচেয়ে বড় সরকারি সুপার স্পেশালিটি ‘জিবি প্যান্ট হসপিটাল’। সরকারি হাসপাতালের পরিষেবায় এই দুর্দশা চূড়ান্ত অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে স্বাস্থ্য দফতরের ডিরেক্টর জেনারেলকে।
অমলেশের কথায় ‘‘ভাগ্যিস খাবার মুখে তোলার আগেই পোকা দেখতে পেয়েছি। ওই খাবার পেটে গেলে কী হত জানিনা।’’
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ইতিমধ্যেই অভিযোগ জানিয়েছেন রেশমি। তাঁর স্বামীও ভর্তি নিউরোসার্জারি বিভাগে। তিনিও খেয়েছেন ওই পোকা ধরা ভাত। রেশমী বলেছেন, ‘‘আমার স্বামী প্লেট হাতে ধরতে পারেন না। তাই আমিই খাইয়ে দিচ্ছিলাম। কয়েক চামচ খাওয়াও হয়ে গিয়েছিল। তারপর দেখলাম ভাতে মিশে রয়েছে পোকা।’
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যদিও এই ব্যাপারে তাঁদের থেকে বিশেষ কিছু জানা যায়নি। তবে, হাসপাতালে রোগীদের দেওয়া সমস্ত খাবার খুঁটিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
Be the first to comment