নকশালরা কোন পথে টাকা পায়, সেই টাকা কীভাবে খরচ করে, জানার জন্য ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটিভ এজেন্সির বিশেষ শাখা তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে জানা গিয়েছে, ১২৫ কোটি টাকার তহবিল গড়েছে মাওবাদীরা। সেই টাকার একটা অংশ তারা জমি-বাড়ির ব্যবসায় বিনিয়োগ করে। একটি অংশ শীর্ষ মাওবাদী নেতাদের ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষায় ব্যয় করা হয়। আর একটি অংশ দিয়ে ক্যাডারদের জন্য অস্ত্র, বিস্ফোরক, ইউনিফর্ম ইত্যাদি কেনা হয়।
নকশালরা ধনী ব্যক্তিদের থেকে নিয়মিত তোলা আদায় করে। অনেক কর্পোরেট সংস্থার থেকেও টাকা নেয়। জঙ্গলে যে কন্ট্রাক্টররা তেন্ডু পাতা তোলে, তাদের থেকেও টাকা আদায় করে। প্রথমে সেই টাকা ভুয়ো কোম্পানির নামে ব্যাঙ্কে জমা রাখা হয়। তার পরে নকশালদের বিশ্বস্ত বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে যায়। সেই ব্যক্তি টাকাটা জমি-বাড়ির ব্যবসায় বিনিয়োগ করে। যখন প্রয়োজন হয়, তখন টাকা নকশালদের ফিরিয়ে দেয়।
কয়েকবছর আগে ঝাড়খণ্ডের বিধায়ক রমেশ সিং মুন্ডা নকশালদের হাতে খুন হন। এনআইএ তদন্ত করে জানতে পারে, বিধায়কের শত্রুদের থেকে পাঁচ কোটি টাকা নিয়ে নকশালরা তাঁকে হত্যা করেছিল। তার মধ্যে ২২ লক্ষ টাকা অস্ত্রশস্ত্র কোনটা ব্যয় করেছে। বাকি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে রিয়েল এস্টেটের ব্যবসায়।
Be the first to comment