মোদী সাহাব সম্বোধন করে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন পাকিস্তানের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। অনুরোধ ছিল ভারত-পাক সম্পর্ক উন্নতির জন্য দু’দেশের বিদেশমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। ইসলামাবাদের অনুরোধ রাখল নয়াদিল্লি। জানিয়ে দিল বৈঠকে রাজি ভারত। কিন্তু সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ভারতের অবস্থান বদল হয়নি।
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার পষ্টাপষ্টি জানিয়ে দিয়েছেন, “এটি শুধুমাত্র একটি বৈঠক। আলোচনা শুরু নয়।” ২০১৬ সালে উরিতে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর থেকে নয়াদিল্লির তরফে বন্ধ করে দেওয়া হয় আলোচনার দরজা। এখনও সে ব্যাপারে অনড় ভারত। এ বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক।
আগামী সপ্তাহে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশন হবে নিউ ইয়র্কে। এই অধিবেশনের ফাঁকেই বৈঠক করবেন সুষমা স্বরাজ এবং শাহ মহম্মদ কুরেশি। ইমরান ওই চিঠিতে লিখেছিলেন সার্কের বৈঠক পাকিস্তানে হলে দু’দেশের সম্পর্ক আরও উন্নতির দিকে যাবে। কিন্তু মোদী সরকারের বিদেশমন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে সার্ক বৈঠকের জন্য পাকিস্তান পরিবেশ সহায়ক নয়। তবে কবে, কোন সময়ে নিউ ইয়র্কে দু’দেশের বিদেশমন্ত্রী বৈঠক করবেন তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। রবীশ কুমার জানিয়েছেন, সেখানকার পার্মানেন্ট মিশন বোইঠকের দিনক্ষণ ঠিক করবে।
পাকিস্তানের নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন বিকেলেই ইমরান জানিয়ে দিয়েছিলেন বন্ধুত্ব স্থাপনে ভারত এক কদম এগোলে পাকিস্তান দু’কদম এগোবে। কূটনৈতিক মহলের মতে, সেই কথাকেই প্রমাণ করার তাগিদে গত ১৪ তারিখ এই চিঠি দেন ক্রিকেটার প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু বিষয়টি চাপা ছিল। গত দু’দিন আগে জম্মুতে লাইন অফ কন্ট্রোলে এক বিএসএফ জওয়ানকে নৃশংসভাবে খুন করে পাকিস্তানি রেঞ্জার্সরা। গলা কেটে নেওয়া হয় বিএসএফ-এর হেড কনস্টেবল নরেন্দ্র সিং-এর। এরপরই এই চিঠির বিষয়টি সামনে আসে।
Be the first to comment