একসময় মিস ক্যালকাটা হয়েছিলেন সুমা গুহ। মডেলিং করতেন। দক্ষিণ ভারতীয় ছবিতেও কাজ করেছেন। অভিযোগ, স্বামীর জন্য বিসর্জন দিয়েছিলেন কেরিয়ার। শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে দুবার অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় সন্তান নষ্ট হয়ে গিয়েছে। শেষপর্যন্ত স্বামীর মারধরে ভয় পেয়ে তিনি পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। লেকটাউন থানার পুলিশও নাকি যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি।
অভিনেত্রীর স্বামীর নাম শেখর হালদার। তিনি পেশায় চিকিৎসক। এক বেসরকারি হাসপাতালে যুক্ত। তাঁর পরিবার একসময় মুম্বইতে থাকত। এখন কলকাতায় চলে এসেছে।২০১১ সালে সুমা গুহের সঙ্গে শেখর হালদারের আলাপ হয়। অভিযোগ, তখন থেকেই তিনি অভিনয় ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। এমনকী ছোটখাটো সিরিয়াল করতে চাইলেও বাধার মুখে পড়তেন।
২০১৩ সালে শেখর হালদারের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। এক বছর পরে শেখরের ভাই মারা যান। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ধারণা হয়, সুমা অপয়া। তাই তাঁদের ছেলে মারা গিয়েছে। তখন থেকে তাঁর ওপরে মানসিক নির্যাতন শুরু হয়। অন্তঃস্বত্তা অবস্থাতেও তাঁকে মারধর করা হত।
কয়েকদিন আগে সুমা একটি নতুন ফ্ল্যাট কেনেন। সেখানে গিয়ে শেখর তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। তার পরে অভিনেত্রী থানায় অভিযোগ জানান। এখন তিনি আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। অভিযুক্ত চিকিৎসক অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
Be the first to comment