মহিলা হোমে ধর্ষণের শিকার এক মূক ও বধির তরুণী। মধ্যপ্রদেশের এক হোমের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ জানিয়েছ, ২৪ বছরের এক মূক ও বধির তরুণীকে ধর্ষণ করেছে ওই হোমেরই দারোয়ান। শুধু তাই নয়। অভিযোগ, গর্ভবতী হয়ে পড়ায় গর্ভপাত করানো হয় ওই তরুণীর। পুড়িয়ে দেওয়া হয় ভ্রূণ। চার ডাক্তার সহ মোট নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তিন ডাক্তার সহ ছয় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে তারা।
পুলিশ জানিয়েছে, মধ্য প্রদেশ সরকারের মহিলা এবং শিশু সুরক্ষা দফতরের কাছে প্রাথমিক ভাবে একটি অভিযোগ জমা পড়েছিল। আর সেখান থেকেই গোটা ঘটনা পুলিশের নজরে আসে। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তদন্তকারী বিশেষ দল গিয়ে পৌঁছয় মধ্যপ্রদেশের ‘স্নেহালয়’ হোমে। পুলিশ জানিয়েছে, গোয়ালিয়রের প্রান্তে থাকা এই হোম পরিচালনের জন্য পুঁজি আসে বিদেশ থেকে।
নির্যাতিতা তরুণীর রুমমেটও মূক এবং বধির। অনুবাদকের সাহায্যে পুলিশের কাছে ওই তরুণী অভিযোগ করেছেন, হোমের দারোয়ান সাহাব সিং গুর্জর প্রায় দু’মাস ধরে ধর্ষণ করেছে তাঁর রুমমেটকে। এরপর অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে হোমের ডিরেক্টর ডক্টর বি কে শর্মা জোর করে গর্ভপাত করান ওই তরুণীর। পুড়িয়ে দেওয়া হয় ভ্রূণও।
এই ঘটনায় হোমের ডিরেক্টর, তাঁর স্ত্রী ডক্টর ভাবনা শর্মা, হোমের ম্যানেজার জয়প্রকাশ শর্মা, ডক্টর বিবেক সাহু, হোস্টেল সুপারভাইজার রবি বাল্মীকি এবং ওয়ার্ডেন গিরিরাজ বাঘেলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ডক্টর পুষ্প মিশ্র, শেল্টার হোমের ওয়ার্ডেন প্রভা যাদব এবং মূল অভিযুক্ত গুর্জরের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। হোমের হোস্টেল সুপারভাইজার রবি বাল্মীকি পুলিশি জেরায় জানিয়েছে, গোটা ঘটনার ব্যাপারে সবই জানতেন হোমের ডিরেক্টর এবং তাঁর স্ত্রী। পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতার গর্ভপাত এবং ভ্রূণ পোড়ানোর কথাও স্বীকার করেছেন ওই সুপারভাইজার।
Be the first to comment