স্কুলের শৌচাগারের পাশে পড়ে রয়েছে বছর ছয়েকের শিশুর নিথর দেহ। পরনের কাপড় প্রায় নেই বললেই চলে। শরীরের একাধিক আঘাতের ছাপ স্পষ্ট। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ধর্ষণ করেই নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে শিশুটিকে।
শনিবার সকালে শিশুটির দেহ উদ্ধার হয় উত্তরপ্রদেশের বসন্তপুর গ্রামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শৌচাগার থেকে। পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটি তার দাদু-দিদিমার সঙ্গে গ্রামেরই কোনও আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধের পর থেকেই নিখোঁজ ছিল শিশুটি। থানায় নিখোঁজ ডায়রি করে তার পরিবারের লোকজন।
গোন্ডা থানার পুলিশ সুপার লাল্লা সিংহ জানিয়েছেন, শিশুটিকে খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। এ দিন গ্রামেরই একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শৌচাগারে শিশুটিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশের সন্দেহ ধর্ষণের পরেই খুন করা হয়েছে শিশুটিকে। তবে দেহের ময়নাতন্তের পরেই বিষয়টি পরিস্কার হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনায় ওই গ্রামেরই কয়েক জন যুবককে আটক করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ পেতে পুলিশ কুকুর নামানো হয়েছে। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, খুব দ্রুত অপরাধীদের চিহ্নিত করা যাবে।
শিশুদের উপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা দিন দিন মাত্রা ছাড়াচ্ছে। কখনও উত্তরপ্রদেশ, কখনও দিল্লি বা মধ্যপ্রদেশ- শিশু ধর্ষণের ঘটনায় একের পর এক রাজ্যের নাম উঠছে খবরের শিরোনামে। কখনও রাখি কিনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হচ্ছে শিশু, আবার কখনও নিজের বাবারই লালসার শিকার হচ্ছে কিশোরী। এই অপরাধের শেষ কোথায়?
Be the first to comment