নৃশংসতা, বর্বরতা, অভিধানের কোনও শব্দ দিয়েই বোধহয় এ ঘটনার ব্যাখ্যা সম্ভব নয়। মহিলাকে নগ্ন করে পেটালো গ্রামবাসীরা। তারপর যৌনাঙ্গে ছিটিয়ে দেওয়া হলো লঙ্কার গুঁড়ো। এবং এই গোটা ঘটনা মোবাইলে ভিডিও করে ছড়িয়ে দেওয়া হলো সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এমনই ঘটনা ঘটেছে অসমের করিম গঞ্জে। ঘটনা গত ১০ সেপ্টেম্বরের। কিন্তু সম্প্রতি নজরে আসে পুলিশের। মোবাইলে মোবাইলে ঘুরছে ওই নারকীয় ঘটনার ক্লিপিং। ছটফট করছেন মহিলা। উন্মত্ত উল্লাসে তাঁকে পিটিয়ে চলেছে জনতা। নজরে আসতেই ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন। এখনও পর্যন্ত ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
করিমগঞ্জ অসম-মিজোরাম সীমান্তের একটি আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম। ওই মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন, গত ১০ সেপ্টেম্বর দুপুরে একদল যুবক তাঁদের বাড়িতে আসেন। হুমকি দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ৮৫ হাজার টাকা দিয়ে দিতে হবে। অস্বীকার করলে কয়েকজন মিলে তাঁর শ্বশুরকে উঠোনের একটি গাছে বেঁধে ফেলে। তাপর শুরু হয় কাপড় খুলে মার। শ্বশুরের সামনেই নগ্ন করে পেটানো হয় পুত্রবধূকে। যাওয়ার আগে যৌনাঙ্গে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে উল্লাস করতে করতে ফিরে যায়।
করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার গৌরব উপাধ্যায় জানিয়েছেন, ওই মহিলার উপর অত্যাচার, গণপিটুনি-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ভিডিয়ো তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে আলাদা মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনায় আর কারা কারা যুক্ত, তা চিহ্নিত করে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে।
Be the first to comment