সেদিন প্রাণে বেঁচে গেছি। আর এখানে চাকরি নয়। কথাটা বলতে বলতে হাতজোড় করে কেঁদে ফেললেন সানাউল্লা রহমানি। দাড়িভিট হাইস্কুলের উর্দুর শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত হয়েছিলেন। হাতে ছিল নিয়োগপত্র। প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে চাকরি করতে আসেন। কিন্তু এতটা ভয়ঙ্কর অবস্থা হবে ভাবেননি। আতঙ্কে জানলা-দরজা বন্ধ করে রেখে বসে আছেন ঘরে। ইসলামপুরের পুলিশদের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় দুই ছাত্রের। তারপর থেকেই শুরু চাপানউতোর। আর তা নিয়ে আতঙ্কিত উর্দু শিক্ষক। হাত জোড় করে বলছেন, এখানে আর চাকরি নয়।
এদিকে ইসলামপুরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজনীতির রং লেগে গেছে। শাসক তৃণমূল ও বিরোধী BJP-র তরজা শুরু গেছে। ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতাল প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দিয়েছে স্কুলে উর্দুর নতুন শিক্ষক সানাউল্লাকে। তবু এই পরিস্থিতিতে প্রত্যেকটা দিন কাটছে আতঙ্কে। তিনি বলেন, “স্কুল সার্ভিস কমিশন আমাকে এমন জায়গায় পাঠিয়ে দিয়েছে, তাতে প্রাণের ভয়ে কাটাতে হচ্ছে। আমি জানতাম না, এখানে এমন হবে। ১৪ সেপ্টেম্বর আমি প্রথম স্কুলে গেছিলাম। সেখানে প্রধানশিক্ষক আমাকে ২০ তারিখ জয়েন করতে বলে।”
ঘটনার কথা বলতে গিয়ে ভয়ে কেঁদে ফেলেন সানাউল্লা। তিনি বলেন, “আমি হাত জোড় করে বলছি, এমন জায়গায় আমি চাকরি করতে চাই না। আমাকে ওরা মারেনি। কিন্তু সেদিন প্রাণে বেঁচে গেছি। শাসিয়ে মুচলেকা লেখানোর চেষ্টা করেছে। কলকাতায় আমার পরিবার খুব আতঙ্কে আছে। এখানে আর নয়।”
ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে শিলিগুড়ির বাসিন্দা সায়েশা ব্যানার্জির(৭)। তার মৃত্যুর পর চিকিৎসায় গাফিলতি ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে সোশাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ মিছিলের আবেদন জানিয়েছিলেন পরিবারের সদস্য়রা। সেই ডাকে সামিল হয়ে আজ মোমবাতি মিছিল হল। প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলাল প্রায় গোটা শিলিগুড়ি শহর। ছিলেন ডান, বাম সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, কলেজ শিক্ষক ও সমাজকর্মীরা।
Be the first to comment