কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। নিশানা করা হচ্ছে মূলত সেনা জওয়ান ও পুলিশ কর্মীদের। এর পেছনে যে পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে তা আরও একবার বললেন ভারতের সেনা প্রধান বিপিন রাওয়াত।
রবিবার একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে বিপিন রাওয়াত বলেন, পাকিস্তান চায় না কাশ্মীরে শান্তি থাকুক। সেই জন্য প্রতিনিয়ত অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে তারা। কাশ্মীরের যুব সম্প্রদায়কে ভুল বুঝিয়ে ভারত বিরোধী কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। আসলে পাকিস্তান চাইছে ভারতের বুকে হাজারো ক্ষত করতে।
বিএসএফ জওয়ান নরেন্দ্র সিংকে মারার প্রসঙ্গে সেনা প্রধান বলেন, পাকিস্তান তাদের সেনাকে ব্যবহার করে এই ধরণের বর্বরোচিত কাণ্ড ঘটাচ্ছে। তবে এটা প্রথম নয়, এর আগেও তারা এই ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানান তিনি। প্রসঙ্গত, ১৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছ থেকে নরেন্দ্র সিংয়ের ক্ষতবিক্ষত বুলেটবিদ্ধ ও গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়।
জেনারেল রাওয়াত জানান, ভারত সরকার যে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও রকম আলাপ আলোচনার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে তাকে তিনি সমর্থন করেন। জঙ্গি কার্যকলাপ ও আলাপ আলোচনা কখনওই একসঙ্গে চলতে পারে না বলে তাঁর মত। সেনা প্রধানের মতে এর মাধ্যমে পাকিস্তানকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে যে ভারত কোনও রকমের জঙ্গি কার্যকলাপ বরদাস্ত করবে না।
জেনারেল রাওয়াত বলেন, ইমরান খান পাকিউস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর তাঁর তরফে কিছু শান্তির বার্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সমগ্র পাকিস্তান যে শান্তিতে বিশ্বাস করে না, তা তাদের কাজকর্ম থেকেই প্রমান। সামনে জম্মু-কাশ্মীরে পঞ্চায়েত ভোট। এই ভোট হোক, সেটা চান তিনি। বিপিন রাওয়াত বলেন, ভোটের মাধ্যমে কাশ্মীরের জনগন গনতন্ত্রের আরও কাছে আসবে বলেই তাঁর ধারণা।
তবে এ ভাবে কি সব জঙ্গি কার্যকলাপ মুখ বুজে সহ্য করবে ভারত। আগে একবার যে ধরণের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে পাকিস্তানকে জবাব দিয়েছিল সেরকম কোনও পরিকল্পনা কি তাদের নেই? এই ব্যাপারে জেনারেল রাওয়াত বলেন, ভারত সবকিছুর জন্য তৈরি। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হঠাৎ করে করা হয়। আগে থেকে কেউ বুঝতে পারে না। তাই এটা সারপ্রাইজই থাক। বক্তব্য, ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধানের।
Be the first to comment