হিমাচল প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টিপাত। হাই অ্যালার্ট জারি হয়েছে কুলুতে। বেশিরভাগ নদীতেই জল বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে। ইতিমধ্যেই উপচে গিয়েছে বিপাশা নদী। আটকে পড়েছেন বহু পর্যটকও।
জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন কাংড়া জেলার এক বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, হিমাচলের লুস্কওয়ারা গ্রামের এক বাসিন্দাও ভেসে গিয়েছেন হড়পা বানে। এখনও এই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে উদ্ধারকারী দল। পাঁচ যাত্রী সহ ভেসে গিয়েছে একটি গাড়ি। খোঁজ মেলেনি এই পাঁচজনেরও। মানালিতে হড়পা বানে ভেসে গিয়েছে একটি পর্যটন কোম্পানির বাস।
সিমলা আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টির মনমোহন সিং জানিয়েছেন, হিমাচল প্রদেশের বেশির ভাগ জেলাতেই মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত লক্ষ্য করা গিয়েছে। কুলুতে হাই অ্যালার্ট জারি হওয়ার পাশাপাশি জারি হয়েছে বন্যা সতর্কতাও। নদীর পাড়ে মানুষদের যেতে নিষেধ করেছেন ডেপুটি কমিশনার ইউনুস খান। হিমাচল প্রদেশের উত্তরাংশের বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে তুষারপাত হতেও দেখা গিয়েছে। লাহুল এবং স্পিতির কিলং এলাকায় তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে শুন্যের নীচে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কিলংয়ের বর্তমা তাপমাত্রা ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।উনা জেলায় রেকর্ড করা হয়েছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, ২৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বন্ধ রয়েছে বেশিরভাগ স্কুল-কলেজ।
হিমাচল প্রদেশের পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ এলাকাতেও ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। নেমেছে ধস। বন্ধ হয়ে গিয়েছে বহু রাস্তা। ধসের ফলে জম্মু ও কাশ্মীরের দোদা জেলায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৫ জনের। যাদের মধ্যে তিনজন শিশুও রয়েছে বলে খবর। দোদা জেলার ডেপুটি কমিশনার সিমরনদীপ সিং জানিয়েছেন, সোমবার সকালে ধসের ফলে ভেঙে গিয়েছে একটি মাটির বাড়ি। সেখানেই দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে দুই মহিলা এবং তিনজন পুরুষের। এ দিন সকালে হড়পা বান আছড়ে পড়েছিল কাঠুয়া জেলাতেও। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২৯ জনকে। বাকিদের উদ্ধারের জন্য জোরকদমে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে উদ্ধাকারী দল এবং বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দল।
Be the first to comment