ফের তিন তালাকের পর অ্যাসিড হামলার অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশে। জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদের বাসিন্দা রাজিয়ার সঙ্গে ২০১৫ সালে বিয়ে হয়েছিল সম্ভলের বাসিন্দা মহম্মদ নুরের। বিয়ের কয়েক মাস পরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ হওয়ায় রাজিয়াকে তাৎক্ষণিক তিন তালাক দেন মহম্মদ নুর। তালাকের পর নিজের বাবা-মা’র কাছে ফিরে যান রাজিয়া।
কয়েক মাস অপেক্ষা করার পর রাজিয়া আদালতে ডিভোর্সের মামলা দায়ের করেন। তার পরেই রাজিয়ার শ্বশুর বাড়ির লোক এসে তাঁকে বলেন, যদি রাজিয়া নিকা হালালা করেন, তাহলে তাঁকে স্বামীর কাছে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। এই প্রস্তাবে রাজিয়া রাজি হয়ে যান। রাজিয়ার সঙ্গে তাঁর শ্বশুরের নিকাহ দেওয়া হয়। তারপর শ্বশুর তাঁকে তালাক দেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, শ্বশুরের তালাক দেওয়ার পরে রাজিয়া যখন ইদ্দতের ( এই সময়ে কোনও মুসলিম মহিলা তাঁর স্বামী মারা গেলে বা তালাক দেওয়ার পর একা জীবন কাটান। এই সময়ে তিনি কাওকে বিয়ে করতে পারবেন না ) সময়ে ছিলেন তখন নুর এসে রাজিয়াকে তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য জোর করেন। এই যৌন সম্পর্কের ফলে রাজিয়া গর্ভবতী হয়ে পড়েন।
রাজিয়া গর্ভবতী হয়ে পড়লে মহম্মদ নুর তাঁকে ঘরে বন্ধ করে রেখে গর্ভপাত করানোর জন্য জোর করতে থাকেন। এরপরেই ফের বাবা-মা’র কাছে ফিরে যান রাজিয়া। তারপরেই সোমবার রাতে যখন রাজিয়া তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে বাইকে করে যাচ্ছিলেন, তখন পেছন থেকে তাঁদের উপর অ্যাসিড ছোঁড়া হয়।
অ্যাসিড হামলায় রাজিয়া ও তাঁর ভাইয়ের পিঠ ও কোমরের বেশ কিছু অংশ পুড়ে গেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তাঁদের জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিজের শ্বশুর ও দেওরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন রাজিয়া। তদন্তকারী অফিসার শৈলেন্দ্র সিং চৌহান জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
দিন পনেরো আগে এরকমই এক ঘটনা ঘটেছিল। তালাক দেওয়ার পর এক মহিলার উপর অ্যাসিড হামলা হয়েছিল। এখনও সেই মহিলা হাসপাতালে ভর্তি।
Be the first to comment