টাকা দিলেই মিলবে সরকারি স্কুলে চাকরির ভাল সুযোগ। যোগ্যতা অনুযায়ী যে কোনও পদ পাইয়ে দেওয়ার গ্যারান্টি। এ ভাবেই নানা স্তোকবাক্য বলে দীর্ঘদিন ধরেই প্রতারণার জাল বিছিয়ে বসেছিলেন এক অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও দু’জন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, তিনজনকেই সোমবার রাতে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই চক্রের মূল পান্ডা উত্তর চব্বিশ পরগনার কাজিরাবাদ ফ্রি প্রাইমারি স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত হেডস্যার। শিক্ষকের নাম মোসারফ আলি। স্কুল থেকে অবসর পাওয়ার পরই তিনি প্রতারণার ব্যবসা ফেঁদে বসেন। এলাকার তরুণদের স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁদের থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেন।
ডিসি(হেডকোয়ার্টার) অমিট জাভালগি বলেছেন, সম্প্রতি রণজিৎ রায় নামে এক তরুণ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে জানান, ওই শিক্ষক স্কুলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তাঁর থেকে ৪০, ০০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বাসন্তীর বাসিন্দা রণজিতের কথায়, ওই শিক্ষক তাঁকে বলেছিলেন সরকারি স্কুলে ভাল পদ পাইয়ে দেবেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর সল্টলেকের বিকাশ ভবনের সামনে শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করে রণজিৎ তাঁকে আগাম টাকা দেন। অভিযোগ, তার পর থেকেই শিক্ষক সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। ফোনেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি রণজিৎ। তার পরেই পুলিশকে গোটা বিষয়টি জানান তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, শিক্ষক মোসারফ আলি এই কাজের জন্য একটা ভুয়ো ওয়েবসাইট ব্যবহার করতেন। তা ছাড়া, চাকরির কিছু ভুয়ো নিয়োগপত্রও মজুত থাকত তাঁর কাছে। ওই সব নথিপত্র বানাতে তাঁকে সাহায্য় করতেন আরও দু’জন। সোমবার রাতে গড়িয়া থেকে সেই দু’জনকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতেরা হলেন রামানন্দ চৌধুরী (৫৪), দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার হাচিমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাঁকে একসময় নানা অভিযোগে স্কুল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। অন্যজন হলেন, রমেন সিন্হা (৩০)। তিনি হার্ডওয়ার এবং নেটওয়ার্কিংয়ে স্নাতক।
ধৃতদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Be the first to comment