বৃহস্পতিবার দীর্ঘ দিন ধরে ঝুলে থাকা একটি মামলায় বড় রায় ঘোষণা করতে পারে সুপ্রিম কোর্ট, পড়ুন!

Spread the love
উনিশের ভোটের আগে বৃহস্পতিবার দীর্ঘ দিন ধরে ঝুলে থাকা একটি মামলায় বড় রায় ঘোষণা করতে পারে সুপ্রিম কোর্ট। যা সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে অযোধ্যায় রাম জন্মভূমি নির্মাণের ইস্যুতেও।
অতীতে ১৯৯৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট একটি রায়ে জানিয়ে দিয়েছিল, নমাজ পড়ার জন্য মসজিদ জরুরি নয়। তা যে কোনও স্থানে বসেই পড়া যেতে পারে। এবং সেই যুক্তিতে সুপ্রিম কোর্ট এ-ও রায় দিয়েছিল যে প্রয়োজন পড়লে সরকার মসজিদের জমিও অধিগ্রহণ করতে পারে।
স্বাভাবিক ভাবেই তাতে খুশি হননি মুসলিম সম্প্রদায়ের বড় অংশ। তাদের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের উচিত এই রায় পুনর্বিবেচনা করে দেখা। প্রায় আড়াই দশক পুরনো সেই রায় সুপ্রিম কোর্ট সত্যিই পুনর্বিবেচনা করবে কিনা সে ব্যাপারে বৃহস্পতিবার রায় দিতে পারেন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র।
সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নেওয়ার আগে এটাই হতে পারে দীপক মিশ্র-র শেষ রায়।
আইনজ্ঞদের মতে, প্রধান বিচারপতি যদি জানিয়ে দেন সর্বোচ্চ আদালতের পূর্বতন রায় পুনর্বিবেচনার প্রশ্ন নেই, তা হলে তা বাবরি মসজিদ মামলায় বড় প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ, ২০১০ সালে বাবরি মসজিদ মামলায় এলাহাবাদ আদালতের লখনউ খণ্ডপীঠ রায় দিয়েছিল, বিতর্কিত জমিটিকে তিন ভাগে ভাগ করতে হবে। তার একটি অংশ পাবে মুসলিমরা। একটি হিন্দুরা। যদিও বড় অংশ হিন্দুদেরই দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দুই পক্ষই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল।
প্রবীণ আইনজীবীদের অনেকের বক্তব্য, নমাজ পড়ার জন্য মসজিদ অপরিহার্য নয় বলে ফের সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিলে সেটাই গেরুয়া শিবির বড় অস্ত্র করে নিতে পারেন অযোধ্যা মামলায়। তারা তখন আদালতে দাবি জানাবে, বাবরি মসজিদকে অযোধ্যায় বিতর্কিত জমি থেকে সরিয়ে অন্য কোথাও পুনর্বাসন দেওয়া হোক। কারণ, মন্দিরে পুজো করা হিন্দুদের আস্থার বিষয়। বড় কথা হল, অযোধ্যায় রাম মন্দিরে ‘রামলালা বিরাজমান’। তবে আদালত যদি পূর্বতন রায় পুনর্বিবেচনা করার জন্য নির্দেশ দেন, তা হলে সুপ্রিম কোর্টে বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমি মামলাও আরও বেশ কিছুদিনের জন্য ঝুলে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে উনিশের ভোটের আগে রাম মন্দির প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টে কোনও রায় ঘোষণা হওয়া মুশকিল।
১৬৬২ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের নির্মাণ হয়েছিল। কিন্তু গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, ওখানে রাম মন্দির ছিল। তা ভেঙে মসজিদ রয়েছে। মন্দিরে এখনও রোজ রামলালা-র মূর্তির পুজো হয়। এই যুক্তিতেই ১৯৯২ সালে লক্ষ লক্ষ করসেবক মিলে বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে দেয়। তার পর থেকে গত ২৬ বছর ধরে বাবরি-বিতর্ক শুধু ঝুলে নেই জাতীয় রাজনীতিকেও বারবার প্রভাবিত করেছে। এখন দেখার বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দেয়।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*