আমদানি খরচ বেড়ে গেছে তাই আমদানি খরচের উপর রাশ টানতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে বাড়তে চলেছে বেশ কিছু পণ্যের দাম।
কী কী সেই পণ্য? তালিকায় রয়েছে এসি, ফ্রিজ, জেট ফুয়েল, ওয়াশিং মেশিন, স্পিকার, কার টায়ার, জুয়েলারি, জুতো, কিচেন ও কিছু প্লাস্টিকের সামগ্রী এবং স্যুটকেস৷ দাম বাড়ানোর কারণ হিসাবে বিবৃতি দিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই সব পণ্য আমদানি করতে শিপিং বিল মেটাতে হয়েছে ৮৬ হাজার কোটি টাকা৷ অথচ পণ্যগুলি নিত্যপ্রয়োজনীয় নয়৷ তাই বেশ কিছু বিদেশি জিনিসের ইমপোর্ট কমানোর জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ৷ এই সিদ্ধান্তে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ডেফিসিট কমাতে সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে ৷
তাই কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আর্থিক ঘাটতি মেটাতে ১৯টি নিত্যপ্রয়োজনীয় নয়, এমন জিনিসের উপর অন্তঃশুল্ক বাড়ানোর৷ বুধবার মাঝরাত থেকে কার্যকর হয়েছে এই সিদ্ধান্ত৷ জানা গিয়েছে, এসি, ফ্রিজ ও ওয়াশিং মেশিন (দশ কেজির কম হলে) উপর অন্তঃশুল্ক দ্বিগুণ করা হয়েছে৷ এই সব পণ্যের উপর আমদানি শুল্ক ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে৷
এমনকী ইমপোর্ট ডিউটি বাড়ানো হয়েছে জেট ফুয়েলের ক্ষেত্রেও ৷ এর আগে কোনও ইমপোর্ট ডিউটি দিতে হত না ৷ তবে এ বার থেকে ৫ শতাংশ ইমপোর্ট ডিউটি দিতে হবে জেট ফুয়েলের ক্ষেত্রে ৷
কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও বিপাকে সাধারণ মানুষ। নিত্য প্রয়োজনীয় না হলেও পুজোর ঠিক আগে এই দাম বাড়ানোর ফলে সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। কারণ পুজোর আগে সাধারণত অনেকে এসি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন প্রভৃতি কিনে থাকেন। সেই জন্য আগে থেকে টাকা জমান সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ। তাই হঠাৎ করে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার ফলে তাঁদের পরিকল্পনা মাটি হয়ে গেছে।
অন্যদিকে সমস্যায় পড়েছেন দোকানদাররাও। পুজোর আগে বেশি বিক্রি হয় বলে নতুন মাল তোলেন তাঁরা। কিন্তু হঠাৎ করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে লোকের কেনার পরিমাণ কমে যাবে। ফলে তাঁদের ব্যবসায় ক্ষতি হবে বলেই ধারণা।
Be the first to comment