দেশকে ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ বানানোর লক্ষ্যে একের পর এক নতুন স্কিম চালু করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অথচ তারই কিনা ‘কল ড্রপ’ হলো। এই ঘটনায় রীতিমতো বিরক্ত প্রধানমন্ত্রী।
সম্প্রতি দিল্লি বিমানবন্দরে নেমে নিজের বাসস্থানের দিকে যাওয়ার সময় ‘কল ড্রপ’ হয় মোদীর। সঙ্গে সঙ্গে তিনি টেলিকম সেক্রেটারি অরুণা সুন্দরাজনকে নির্দেশ দেন, টেলিকম প্রোভাইডারের কাছে এই বিষয়ের জবাবদিহি করার জন্য। সম্প্রতি টেলিকম মন্ত্রকের সঙ্গে এক আলোচনার সময় মোদী এই কথা বলেন।
এই আলোচনায় মোদী বলেন, দিল্লি বিমানবন্দর থেকে বেরানোর পর তিনি অনেক লোককেই দেখেছেন এই সমস্যার মধ্যে পড়তে। বাড়ির লোককে, বা কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজে ফোন করতে গেলেও এই কল ড্রপের সম্মুখীন হন তাঁরা। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। দরকার পড়লে এর জন্য নতুন টেকনোলজি নিয়ে আসার প্রস্তাবও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
মোদী অরুণা সুন্দরাজনের কাছে জানতে চান, কল ড্রপ হলে তার জন্য সংশ্লিষ্ট টেলিকম সংস্থাকে কোনও ফাইন করা হয় কিনা। তাতে অরুণা জানান, খারাপ পরিষেবার কারণে ফাইন করার নিয়ম থাকলেও কল ড্রপের জন্য ফাইনের নিয়ম নেই। কিন্তু শিগগির এই নতুন নিয়ম আনা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রত্যেক তিনবার কল ড্রপ হলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছ থেকে ১ টাকা করে ফাইন নেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছেন টেলিকম সেক্রেটারি।
প্রধানমন্ত্রী মোদী টেলিকম দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কল ড্রপের এই সমস্যাকে দূর করতে হবে। তার জন্য উন্নত টেকনোলজির ব্যবস্থা করতে হবে বলেও জানিয়েছেন মোদী। তিনি বলেছেন টেলিকম সংস্থাগুলিকে খেয়াল রাখতে হবে যাতে সাধারণ মানুষ কোনও রকমের সমস্যার মধ্যে না পড়েন। বর্ডার এলাকাতেও টেলিকম সার্ভিস যাতে ঠিক থাকে তার নির্দেশ দিয়েছেন মোদী। তার সঙ্গে তিনি এও জানান, খেয়াল রাখতে হবে যাতে শত্রুপক্ষ দেশের ভেতরের খবর বাইরে থেকে না পেতে পারে।
তবে প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই কল ড্রপের খবর পেয়ে বিভিন্ন রকমের প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। কারও মতে শুধু সাধারণ মানুষেরই কল ড্রপ হয় না, প্রধানমন্ত্রীরও হয়। টেলিকম সংস্থা গুলি সবাইকে সমান চোখে দেখে। আবার কেউ বলেছেন, মোদী ডিজিটাল ইন্ডিয়া বানানোর চেষ্টা করছেন। তাঁর এই ভাবনায় এই কল ড্রপ এক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে। এটা উচিত নয়। কেউ তো আবার মস্করা করে একে বিরোধীদের চক্রান্ত বলেও উল্লেখ করেছেন।
Be the first to comment