সংগ্রামপুর বিষমদ কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত খোঁড়া বাদশা সহ ৪ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল আলিপুর আদালত

Spread the love

দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার সংগ্রামপুর বিষমদ কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত খোঁড়া বাদশা-সহ ৪ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল আলিপুর আদালত। বৃহস্পতিবার বিষমদ মামলার রায়ে আদালত ৭ জনকে বেকসুর খালাস করে দেয়। শুক্রবার সাজা ঘোষণা হবে বলে জানিয়েছে আদালত।

২০১১ সালে বিষমদ খেয়ে মৃত্যু হয় প্রায় ২০০ জনের। এরপর উস্তি থানার পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে ওই মদের ঠেকের মালিক খোঁড়া বাদশা-সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে। পালিয়ে যায় মূল অভিযুক্ত খোঁড়া বাদশা। বেশ কয়েকদিন পর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সাত বছর পর সেই মামলার রায় দিল আলিপুর আদালত।
এ দিন রায় ঘোষণার পর কোর্ট থেকে বেরনোর সময় কান্নায় ভেঙে পড়ে খোঁড়া বাদশা। সাংবাদিকদের বলেন, “আমাকে অন্যায় ভাবে সাজা দেওয়া হলো। আমি হাইকোর্টে যাব।”

২০১১ সালের সংগ্রামপুর কাণ্ডের পরই সামনে আসে খোঁড়া বাদশার কাহিনী। জানা যায়, আসলে সে ছিল ওই এলাকার বেতাজ বাদশা। রেলের জায়গায় বেআইনি চোলাই মদের ব্যাবসা করলেও তার হাবভাব, চালচলন ছিল বড় শিল্পপতির মতো।  স্থানীয় এবং মৃতদের পরিবারের অভিযোগ ছিল, ওই এলাকার যুব সমাজের ভবিষ্যৎ একা শেষ করে দিচ্ছিল খোঁড়া বাদশা। বিষমদে মৃত্যুর কথা প্রকাশ্যে আসতেই, জনতার জমে থাকা ক্ষোভ কার্যত বিস্ফোরণের চেহারা নিয়েছিল। নিমেষের মধ্যে এলাকার মহিলারা এক হয়ে খোঁড়া বাদশার চোলাই সাম্রাজ্য ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। মৃতদের পরিবারের জন্য সেই সময় সদ্য সরকারে আসা তৃণমূল ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণও ঘোষণা করেছিল।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*