বর্ষার মরসুম শেষ হতে চলেছে। এই সময় ফের হুগলির জেলাসদরে হানা দিল ডেঙ্গি। মৃত্যু হল চুঁচুড়ার ধরমপুরের বাসিন্দা সন্ধ্যা চক্রবর্তী (৬৩) নামে এক বৃদ্ধার। ডেঙ্গি জ্বরে আক্রান্ত তাঁর ছেলেও।
১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সন্ধ্যা দেবী গত ১৬ সেপ্টেম্বর কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে মারা যান। সন্ধ্যাদেবীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পেটের রোগ ও জ্বর হওয়ায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর তাঁকে চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়। ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর কারণ হিসেবে ‘ডেথ সার্টিফিকেট’-এ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডেঙ্গির কথাই জানিয়েছেন।
সন্ধ্যাদেবীর বড় ছেলে বাসুদেব গত মঙ্গলবার জ্বরে আক্রান্ত হন। তাঁকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বৃদ্ধার মৃত্যুতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে ধরমপুরে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বৃদ্ধার বাড়ি লাগোয়া একটি আগাছা ভরা জলাজমি রয়েছে। সেটি মশার আঁতুড়ঘর।তাঁদের আরও অভিযোগ, সন্ধ্যাদেবীর মৃত্যুর পরে পুরকর্মীরা এলাকায় জঞ্জাল সাফাইয়ে নামেন। আগে তাঁরা সে ভাবে সক্রিয় হননি।
তবে, এলাকাবাসীর অভিযোগ মানতে চাননি ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অমিত ধর। তিনি জানিয়েছেন, ডেঙ্গি রোধে পুরসভার তরফ থেকে সব রকম ব্যবস্থাই নেওয়া হয়। সচেতনতা শিবিরেরও আয়োজন করা হয়। এত কিছু সত্ত্বেও বৃদ্ধা কী ভাবে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলেন তার সদুত্তর অবশ্য অমিতবাবু দিতে পারেননি।
বছর দুই আগে শ্রীরামপুরে ডেঙ্গি মহামারির আকার নিয়েছিল। গত বছরেও উত্তরপাড়া, বৈদ্যবাটী-সহ বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে ডেঙ্গির খবর মিলেছিল। মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও ডেঙ্গিতে মৃত্যু রোধ করা যাচ্ছে না। এতে হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
Be the first to comment