প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খুন করে মাওবাদীরা গৃহযুদ্ধ বাধাতে চায়, এমনটাই বক্তব্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশের।
সমাজকর্মী ভারভারা রাও সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করার পর তাঁদের মুক্তির ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে তারা এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে না। ধৃতদের জামিনের জন্য নিম্ন আদালতে আপিল করতে হবে। এ ব্যাপারেই মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ জানিয়েছেন, দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। তিনি জানান, পাঁচজনের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ তাঁদের হাতে আছে।
মহারাষ্ট্র পুলিশ সেইসব তথ্য প্রমাণ ইতিমধ্যেই আদালতে পেশ করেছে। এইসব তথ্য প্রমাণ দেখেই সুপ্রিম কোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছে বলে বক্তব্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি জানান, মহারাষ্ট্র পুলিশের করা তদন্তের প্রশংসা করেছে দেশের শীর্ষ আদালত।
পাঁচ সমাজকর্মীকে গ্রেফতারির পরেই প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস ও বুদ্ধিজীবীদের একটা বড় অংশ এই গ্রেফতারিকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে কেন্দ্রের বিরোধিতা করেছেন। এই প্রসঙ্গেই এ দিন তিনটি বিষয় তুলে ধরেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ।
তিনি বলেন, প্রথমত, এই গ্রেফতারির পেছনে কোনও রকমের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র নেই। দ্বিতীয়ত, কারও আওয়াজ দমানোর উদ্দেশ্যে এই গ্রেফতারি করা হয়নি। তৃতীয়ত, কোনও রকমের পক্ষপাতিত্ব বা ব্যক্তিগত রাগ কারও বিরুদ্ধে নেই। ফড়ণবীশের মতে, পুনে পুলিশ সব প্রমান সুপ্রিম কোর্টের কাছে পেশ করেছে। এখন খালি শুনানির অপেক্ষা।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, গ্রেফতার হওয়া সমাজকর্মীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে হত্যার ষড়যন্ত্র করছিলেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে মেরে দেশে গৃহযুদ্ধ বাধানোর পরিকল্পনা করছিলেন। এরা দেশের শত্রু। তিনি আরও বলেন মাওবাদীদের মতো বেশ কিছু সংগঠন এদের সাহায্য করছেন। কিন্তু এখন সবকিছু সামনে চলে এসেছে। তাই এদের বাঁচার কোনও সুযোগ নেই বলেই মত দেবেন্দ্রর।
Be the first to comment