প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার দিনই ভারতের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন ইমরান খান। কিন্তু যাঁরা সীমান্তে পাহারা দেন, তাঁদের অভিজ্ঞতা একেবারে বিপরীত। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল কে কে শর্মা শুক্রবার বলেছেন, ইমরান ক্ষমতায় আসার পরে আরও হিংস্র ও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে পাকিস্তানের সেনা।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর সীমান্তের রামগড় সেক্টরে পাকিস্তানী সেনার হাতে নৃশংস খুন হন বিএসএফ কনস্টেবল নরেন্দ্র সিং। সেই ঘটনার উল্লেখ করে কে কে শর্মা বলেন, সীমান্তে কিছুই বদলায়নি। আগে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাকিস্তান যে ধরণের হামলা চালাত, এখন আন্তর্জাতিক সীমান্তেও তাই চালাচ্ছে।
কীভাবে নরেন্দ্র সিং খুন হয়েছিলেন, তার বর্ণনা দিয়ে কে কে সিং বলেন, সীমান্তে টহল দেওয়ার সময় মাঝে মাঝে পাকিস্তানের সেনা আমাদের লক্ষ করে গুলি ছোঁড়ে। আমরা কৌশলগত কারণে পিছিয়ে আসি। পাকিস্তানের সেনার সঙ্গে কথা বলি। তারপর ফের টহল দিতে শুরু করি। ১৮ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানি সেনা যথারীতি আমাদের দিকে গুলি ছোঁড়ে। আমরা পিছিয়ে আসি। তারপর দেখা যায়, আমাদের একজনের খোঁজ নেই।
আমরা সীমান্ত এলাকায় ফিরে গিয়ে দেখি, তার টুপিটি পড়ে রয়েছে। কাউকে মাটির ওপর দিয়ে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ারও দাগ আছে।
আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলি। তারা আমাদের সীমান্তের ওপারে গিয়ে খুঁজে দেখতে অনুমতি দেয়। সেখানে ওই জওয়ানের মৃতদেহ মেলে। তার শরীরে তিনটি বুলেটের ক্ষত ছিল। গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপের দাগ ছিল।
আর কিছুদিনের মধ্যেই অবসর নিচ্ছেন কে কে শর্মা। তার আগে তিনি শেষবারের মতো সাংবাদিক বৈঠক করেন।
Be the first to comment