বিধায়কের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন এক স্পেশ্যাল পুলিশ অফিসার। শেষে তিনিই কিনা পালিয়ে গেলেন সাতখানা বন্দুক নিয়ে। তাও আবার যে সে বন্দুক নয়। একেবারে এ কে ৪৭ রাইফেল। ঘটনাটি ঘটেছে জম্মু ওকাশ্মীরের শ্রীনগরে।
পুলিশ জানিয়েছে পিপলস্ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বিধায়ক আলিয়াজ আহমেদ মীরের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন স্পেশ্যাল অফিসার আদিল বশির। শুক্রবার সন্ধ্যা আটটা নাগাদ আলিয়াজই প্রথম লিক্ষ্য করেন যে সাতটি রাইফেল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। একই সঙ্গে নিখোঁজ দায়িত্বে থাকা অফিসার আদিল বশিরও। খবর পেয়েই বিধায়কের বাড়িতে পৌঁছন পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তারা। এরপর তাঁরাই অনুমান করেন যে আদিল বশিরই ওই সাতটি এ কে ৪৭ নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। সঙ্গে নিয়েছেন একটি পিস্তলও। পুলিশের অনুমান, সম্ভবত জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিয়েছেন আদিল। কড়া নিরাপত্তা মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা শ্রীনগর। জারি হয়েছে হাই অ্যালার্টও। পুলিশ জানিয়েছে, যে অঞ্চল থেকে ওই সাতটি এ কে ৪৭ খোয়া গিয়েছে সেটা শ্রীনগরের অন্যতম কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীতে থাকা এলাকা। সেখান থেকে কীভাবে পালালেন বসির সেটাই ধন্দে ফেলেছে উপত্যকার পুলিশবাহিনীকে।
শ্রীনগরের এস পি ইমতয়াজ ইসমাইল জানিয়েছে, এটা কোনও সাধারণ অস্ত্র লুঠের ঘটনা নয়। বরং এর পিছনে কোনও গভীর ষড়যন্ত্রের আঁচ করছে পুলিশ। তাদের অনুমান কয়েকদিন আগেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন আদিল বশির। তদন্তের জন্য বেশ কয়েকজন কনস্টেবলকেও এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশের অনুমান একা আদিল নন, এই ঘটনায় হাত রয়েছে আরও অনেকের। নিখোঁজ আদিল বশিরের খোঁজ দিতে পারলে পুরষ্কার স্বরূপ মিলবে নগদ ২ লক্ষ টাকা। এ কথাও ঘোষণা করেছে পুলিশ।
Be the first to comment