পুজোর পরেই নতুন কর্মসূচি নিয়ে নামছে বীরভূম জেলা তৃণমূল। জেলা সভাপতি স্বয়ং অনুব্রত মণ্ডল জানিয়ে দিলেন, পুজোর পর থেকেই আচট জমিতে পাচন দেবেন। গুড় বাতাসা, চড়াম-চড়ামের পর অনুব্রতর নতুন আইটেম পাচন। জানিয়ে দিলেন নিজেই। যেমন দেন আর কী!
শুক্রবার ছিল বীরভূম জেলাপরিষদের বোর্ড গঠন। এমনিতেই বিরুদ্ধ শূন্য জেলাপরিষদ গঠন করে রেকর্ড গড়েছে তৃণমূল। জেলা পরিষদ ভবন প্রাঙ্গণে একটি সভায় কেষ্টবাবু মেজাজের সঙ্গে জানিয়ে দেন। “আচট জমি ফেলে রাখতে নেই। ওখানে চাষ দিতে হয়। চাপড় দিলে হবে না। ভাল করে পাচনের বাড়ি দিতে হবে।”
আচট কী? আর পাচনই বা কী?
গ্রাম বংলায় কৃষি প্রধান এলাকায় অনুর্বর জমিকে আচট বলে। আর তাতে কড়া ধাঁচের লাঙল দিয়ে ফসল ফলানোটাকে পাচন বলে।
কিন্তু এই কথা কার উদ্দেশে?
পর্যবেক্ষকদের মতে, এই আচট জমি বলতে বোঝাতে চেয়েছেন বিজেপি-র যে এলাকায় শক্তি রয়েছে সেই এলাকাগুলিকে। তৃণমূলের জন্য সেই এলাকাগুলি অনুর্বর। আর সেখানেই পাচন দিয়ে ঘাসফুল ফোটাতে পুজোর পরেই নামার প্রস্তুতি শুরু করতে বললেন অনুব্রত।
কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে পুজো দিতে গিয়েছিলেন তিনি। কপালে রক্তবর্ণ তিলক কেটে মায়ের পায়ে ১০৮জবা ফুলের মালা চড়িয়ে বাইরে এসে বলেছিলেন, “মাকে বললাম ৪২-এ ৪২ করে দাও। মা বলল করে দেব।” কিন্তু তিনি যে শুধু মায়ের উপর নির্ভর নন তা বুঝিয়ে দিয়েছেন শুক্রবার। দিদির টার্গেট পূরণ করতে এ বার তাঁর দাওয়াই পাচনের বাড়ি।
Be the first to comment