দাড়িভিটের জল গড়াচ্ছে দিল্লি পর্যন্ত। উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দাড়িভিট স্কুলে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে ছাত্র বিক্ষোভে গুলিতে নিহত হন দুই ছাত্র রাজেশ সরকার এবং তাপস বর্মন। অভিযোগ, পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এই তরুণের। কিন্তু মিলান থেকে মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়নি রাজেশ-তাপসের। এ বার দাড়িভিটের নিহত দুই ছাত্রের পরিবারকে নিয়ে দিল্লির দরবারে যাচ্ছে বিজেপি।
সোমবার দিল্লিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দফতরে রাজেশ-তাপসের পরিবারকে নিয়ে যাবেন বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং দার্জিলিং-এর সাংসদ এসএস আলুওয়ালিয়া। মানবাধিকার কমিশনে নালিশ জানানোর পর যাওয়ার কথা রাইসিনা হিলসে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতেও। যদিও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত নয় বলে বিজেপি সূত্রে জানা গেছে।
অনেকের মতে, দাড়িভিটের নিহত দুই ছাত্রের পরিবারকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা মুকুল রায়ের মস্তিষ্ক প্রসূত। অতীতে তিনি যখন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড ছিলেন একই কায়দা অবলম্বন করতেন বাম সরকারের শেষ কয়েক বছরে। নেতাইয়ের ঘটনার সময়েও নিহতদের পরিবারকে নিয়ে দিল্লিতে হাজির হয়েছিলেন শুভাপ্রসন্ন, ব্রাত্য বসু, অর্পিতা ঘোষ সহ বিদ্বজনেরা। আসলে পিছনে ছিল মুকুল রায়েরই প্ল্যান। তাঁদের মতে, মুকুল মডেলেই এ বার দাড়িভিটের ঘটনা নিয়ে দিল্লিতে দরবার করবে বিজেপি।
পর্যবেক্ষকদের মতে, এর দুটি দিক রয়েছে। এক, বাংলার একটি জেলায় কী ঘটেছে তা জাতীয় স্তরে তুলে ধরা। এবং দুই, সামনেই উনিশের ভোট। তার আগে দিল্লিকে জানিয়ে দেওয়া, এখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই। তাই ভোটের সময় যাতে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয়বাহিনী পাঠিয়ে ভোট হয় সেটি নিশ্চিত করা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ২০০৭-এর পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে দিল্লিতে দরবার করার ফল মিলেছিল ২০১১-তে। এমন আঁটোসাটো নিরাপত্তা দিয়ে ভোট হয়েছিল, যে সিপিএমের বাহিনীও এ দিক- ও দিক করতে পারেনি। উনিশের জন্য সেই একই মঞ্চ প্রস্তূত করতে এখন থেকেই মুকুল রায়কে দিল্লি দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
যদিও তৃণমূলের এক মুখপাত্র বলেন, “বিজেপি ইসলামপুরের ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করছে। ওখানে গুলি চালানোর নেপথ্যে ওরাই। আবার ওরাই দিল্লি নিয়ে যাচ্ছে। বাংলার মানুষ সব দেখছে।
Be the first to comment