হায়দ্রাবাদে আত্মহত্যা করেছন বছর পঁচিশের এক তরুণী। পুলিশ জানিয়েছে, পণের জন্য নিত্যদিন তাঁকে অত্যাচার করতেন তাঁর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন। অনুমান এই কারণেই আত্মহত্যা করেছেন ওই তরুণী। রবিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশের জানিয়েছে, মৃতার নাম পি রূপিণী। পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন ওই তরুণী। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, নিজের বাড়িতেই আত্মহত্যা করেছেন ওই তরুণী। বেডরুমের সিলিং ফ্যান থেকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সময় ভিতর থেকে বন্ধ ছিল ঘরের দরজা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। দ্রুত স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ওই তরুণীকে। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
অন্ধ্রপ্রদেশের গোদাবরী জেলার বাসিন্দা ছিলেন রূপিণী। চলতি বছর মার্চ মাসের ৪ তারিখ বিয়ে হয় তাঁর। এপ্রিল মাসেই স্বামীর সঙ্গে হায়দ্রাবাদে আসেন তিনি। তরুণীর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তরুণীর বাবা। পুলিশ জানিয়েছে, তরুণীর বাবা অভিযোগ জানিয়েছেন, গত অগস্ট মাস থেকেই পণের দাবিতে তাঁর মেয়ের উপর অত্যাচার শুরু করেছিল তাঁর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পুলিশ আরও জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে ওই তরুণীর স্বামীকে। ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রুজু হয়েছে মামলাও।
Be the first to comment