আর কলেজে যেতে চাই না। খুব ভয় লাগে। বারবার ওরা হুমকি দিয়ে ফোন করছে। বলছে কলেজে এসে আমায় মেরে ফেলবে। এই শহর থেকেই দূরে চলে যেতে চাই।” ঠিক এমনটাই জানালেন মীরাটের সেই মুসলিম ডাক্তারি পড়ুয়া। সপ্তাহ ঘুরে গেলেও আতঙ্ক একটুও কমেনি তাঁর মন থেকে।
সপ্তাহ খানেক আগে হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন এই তরুণী। তাঁর এক হিন্দু সহপাঠিনী তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন বই নিতে। সেখানে আচমকাই চড়াও হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কয়েক জন লোক। তরুণী লাভ জেহাদের শিকার এ সব বলে তারা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসেই তরুণ ও তরুণীকে উদ্ধার করার নামে আলাদা গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। আর এর পরেই শুরু হয় হেনস্থা। উচিত শিক্ষা দেওয়ার নামে চলে বেধড়ক মারধর। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় একটি ভিডিও। ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, যে গাড়িতে তরুণীকে তোলা হয়েছিল সেখানে ছিলেন এক মহিলা পুলিশ সহ আরও তিনজন পুলিশকর্মী।
গাড়িতে ওই মহিলা পুলিশকর্মী আর এক পুরুষ পুলিশকর্মীর মাঝখানে বসে রয়েছেন অসহায় তরুণী। লাল সালোয়ার কামিজ পরা, সাদা-কালো ওড়নায় মুখ ঢাকা সেই তরুণীকে মাথায় ধাক্কা মেরে মেরে মুখ থেকে ওড়না খুলে দিয়ে হেনস্থার একশেষ করছে মহিলা পুলিশকর্মীটি। পাশে বসে মজা দেখছে আর ফোড়ন কাটছে আরও দু তিন জন পুলিশকর্মী। বক্তব্য একটাই, হিন্দু ছেলে থাকতে মুসলিম ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক করছ, লজ্জা করে না!
ওই একই দিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পায় আরও একটি ভিডিও। সেখানে ডাক্তারির পড়ুয়া ওই তরুণকেও মার খেতে দেখা গিয়েছে। আর ওই তরুণ মার খাওয়ার সময় পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন এক পুলিশকর্মী। ব্যাপারটা আয়ত্তে আনার চেষ্টা না করে বরং মজা দেখছিলেন তিনি। তরুণের অভিযোগ, যতক্ষণ না তাঁর নাক-মুখ থেকে রক্ত বেরোন শুরু হয়েছে ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁকে মারধর করা হয়। এমনকী তাঁর গোপনাঙ্গে হাত দিয়েও তাঁকে হেনস্থা করার অভিযোগ তুলেছেন ওই পড়ুয়া।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই শোরগোল পড়ে যায় সারা ভারত জুড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নামে মীরাট পুলিশ। মীরাটের এক উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তা বলেছেন, ওই তরুণ-তরুণীর মধ্যে যাই সম্পর্ক থাক, তা নিয়ে কথা বলার কোনও অধিকার পুলিশের নেই। টুইটারে মীরাট পুলিশকে মেনশন করে রাজ্য পুলিশের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে লেখা হয় বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য।
বিতর্কিত এই ফুটেজ ছড়িয়ে পড়তেই নড়েচড়ে বসে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ প্রশাসন। অভিযুক্ত চার পুলিশকর্মীর মধ্যে তিনজনকে ইতিমধ্যেই সঠিক তদন্তের সাপেক্ষে মীরাট থেকে বদলি করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে গোরক্ষপুরে। কিন্তু এখনও মীরাটেই কর্মরত রয়েছে আর একজন। এমনকী এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতারও করেনি মীরাট পুলিশ। আর তাতেই কপালে ভাঁজ পড়েছে আক্রান্ত ওই মুসলিম পড়ুয়ার। তাঁর বক্তব্য বারবার হু
Be the first to comment