মুখ খুললেই ‘বিপ্লব!’ তাঁর মুখনিঃসৃত বাণী মানেই আলোচনা হবে আমেদাবাদ থেকে আমতা পর্যন্ত। হাসির রোল উঠবে শিলিগুড়ি থেকে সিমলা। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব যেন এ ব্যাপারে ক্লান্তিহীন। এ বার সামনে আনলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাইদের পেশা। শনিবার ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় বিপ্লববাবু গর্বের সঙ্গে বলেন, “মোদীজির বৃদ্ধা মা রয়েছেন। কিন্তু তিনি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে থাকেন না। ১০ ফুট বাই ১২ ফুট একটি ঘরে থাকেন। চার বছর হয়ে গেল মোদীজি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তার আগে ১৩ বছর ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এখনও তাঁর এক ভাই মুদির দোকান চালান। আর এক ভাই অটো চালক। সারা দুনিয়ায় আর এমন একজনও প্রধানমন্ত্রী আছেন?”
জিম ট্রেনার থেকে সোজা মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে গিয়ে বসেছেন বিপ্লব। উত্তর-পূর্বের ছোট্ট রাজ্যটিতে লাল জমানার অবসান ঘটিয়ে গেরুয়া ঝড় তুলেছেন। কিন্তু মসনদে বসার পর থেকেই তাঁর কথায় বারবার বিপাকে পড়তে হয়েছে বিজেপি-কে। কখনও বলেছেন মহাভারতের জমানায় ইন্টারনেট ছিল। কখনও আবার বিজ্ঞানের নব দিগন্ত খুলে দিয়ে বলেছেন হাঁস জলে নামলে জলে অক্সিজেনের পরিমাণ বেড়ে যায়। শুধু তো বিজ্ঞান নয়। সাহিত্য-ইতিহাস নিয়েও বিপ্লব বাবুর মন্তব্য শুনে অনেকে মুখ টিপে হেসে উঠেছিলেন। বিপ্লব বলেছিলেন, “ইংরেজদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল প্রাইজ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।” এই মন্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ড হয়ে গেছিল একটি শব্দ। নেটিজানরা যাকে বলেছিলেন #কমেডি_বিপ্লব। সেই সময়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা হয়েছিল, রবীন্দ্রনাথ যখন নোবেলটা ফেরতই দিয়ে দিয়েছিলেন তাহলে মনে হয় বিশ্বভারতী থেকে নোবেল চুরির বিষয়টি সাজানো। শুধু তো এখানেই থামেননি। মাস দুয়েক আগে ত্রিপুরার ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতরের একটি অনুষ্ঠানে টেনিস খেলোয়াড় সোমদেব দেববর্মনকে ব্যাডমিন্টনের গর্ব বলে উল্লেখ করেছিলেন।
এ বার সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দু’ভাইয়ের পেশা সামনে এনে দিলেন বিপ্লব দেব।
Be the first to comment