দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার কুলতলিতে গণধর্ষণের শিকার এক নবম শ্রেণির ছাত্রী। পরে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে বছর চোদ্দর ওই কিশোরী।
পুলিশ জানিয়েছে, গত শুক্রবার স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক চোদ্দ বছরের কিশোরীকে অপহরণ করে তিনজন। নিয়ে যায় এক পরিত্যক্ত এলাকায়। অভিযোগ সেখানেই গণধর্ষণের শিকার হয় ওই কিশোরী। এরপর অচৈতন্য অবস্থায় দুষ্কৃতীরা ওই কিশোরীকে ফেলে রেখে যায় তার মামার বাড়ির সামনে। এই ঘটনার পর শনিবার বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে ওই কিশোরী। এই ঘটনায় তিন অভিযুক্তের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেল থেকেই নিখোঁজ ছিল কিশোরী। পরিবারের লোকজন দীর্ঘ সময় পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন হদিশই পায়নি। ওই দিন গভীর রাতে তাকে মামার বাড়ির সামনে ফেলে দিয়ে যায় অভিযুক্ত তিন যুবক। পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, শনিবার সকাল থেকেই মনমরা হয়ে ছিল নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী। এরপরেই বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে সে। পুলিশ জানিয়েছে ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না কেউই। অচৈতন্য অবস্থায় কিশোরীকে উদ্ধার করে কুলতলির ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
অভিযুক্ত তিন যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ছাত্রীর পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তিন অভিযুক্তের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে কুলতলি থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম মহিউদ্দিন মোল্লা। বাকি দুই পলাতকের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে ্মৃত ছাত্রীর দেহ। জানা গিয়েছে, সোমবার বারুইপুর আদালতে তোলা হবে ধৃত অভিযুক্তকে। আত্মঘাতী ছাত্রীর পরিবারের দাবি অবিলম্বে বাকি পলাতকদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দিক প্রশাসন।
Be the first to comment