আফিম চাষকে বৈধ করা হবে না হবে না, সে বিষয়ে আলোচনা হবে। কারণ বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। সোমবার কংগ্রেস নেতা নভজ্যোৎ সিং সিধুর মন্তব্যের জবাবে এই কথা বললেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিং।
কয়েকদিন আগে আম আদমি পার্টির সাংসদ ধরমবীর গান্ধী আফিম চাষের পক্ষে আওয়াজ তুলেছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, আফিম চাষকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হোক। তাঁর দাবির পক্ষেই নিজের মত তুলে ধরেন প্রাক্তন ক্রিকেটার সিধু। সোমবারই নভজ্যোৎ সিং সিধু বলেন, ” আফিম চাষকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া উচিত৷ আফিম আমার কাকাকে দীর্ঘ জীবন বেঁচে থাকতে সাহায্য করেছিল৷ এর অনেক গুণ রয়েছে৷ ”
সেই বিষয়েই মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিং জানান, এই বিষয়ে রাজ্য চিন্তাভাবনা করবে। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের ধারণা আলোচনার কথা বলে পরোক্ষে সিধুর কথাকেই সমর্থন করলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী।
তবে এই ইস্যু ঘিরে ইতিমধ্যেই সমালোচনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে৷ কারণ এই আফিম শুধু ওষুধ নয়, বিভিন্ন রকম নেশার কাজেও ব্যবহার করা হয়৷ এই চাষকে আইনি স্বীকৃতি দিলে তা অপব্যবহারও করতে পারেন অনেকে বলে মনে করা হচ্ছে৷ পাঞ্জাবে এক এনজিও’র প্রধানের কথায়, ” এমনিতেই নেশার কবলে পাঞ্জাবের যুব সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশ। সেখানে এ ভাবে আফিম চাষ আইনি স্বীকৃতি পেলে সেই পরিমাণ আরও বাড়বে।”
প্রসঙ্গত, আপ সাংসদ ধরমবীর গান্ধী বহুদিন ধরেই আফিম চাষকে বৈধ স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি করে আসছেন৷ এই ইস্যুতে গত বছর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখাও করেন তিনি৷ তবে খুব বেশী দূর এগোতে পারেননি৷ ২০১৬ সালে সংসদে আফিম চাষের পক্ষে বক্তব্য রেখেছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের জুন মাসে আহমেদগড়ের মান্ডি এলাকায় একই দাবি নিয়ে কৃষকদের মিছিলে যোগ দেন ধরমবীর৷ কৃষকদের দাবি ছিল আফিম চাষের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে৷
Be the first to comment