আগুন! আগুন! বুধবার সকালে এমনই পরিত্রাহী চিৎকারে ঘুম ভাঙে মেডিক্যাল কলেজের রোগীদের। কিছু বুঝে ওঠার আগেই কালো ধোঁয়া গ্রাস করতে থাকে সবকিছুকে। ছোটাছুটি, দৌড়াদৌড়ি, আপনজনদের বাঁচাতে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায় গোটা হাসপাতালে। সাদা বড় বাড়িটা নিমেষের মধ্যে যেন আতঙ্ক, ভয় ও কোলাহল মুখর হয়ে ওঠে।
এমসিএইচ বিল্ডিংয়ে রয়েছে কার্ডিওলজি, আইসিইউ, পুরুষ এবং মহিলাদের মেডিসিন বিভাগের ওয়ার্ড। আগুন ছড়িয়েছে এখান থেকেই। প্রথমে দমকলের চারটি ইঞ্জিন পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে ধীরে ধীরে সেই সংখ্যা বাড়ে। পৌঁছয় দমকলের ১১টি টেন্ডার। ওষুধের দোকানের শাটার ভেঙে, কাচ ভেঙে ভিতরে ঢুকে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায় দমকল বাহিনী। দেওয়ালে ফুটো করে শুরু হয় ধোঁয়া বার করার চেষ্টা।
কী থেকে আগুন লাগল সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এক রোগীর আত্মীয় বললেন, ‘‘সিলিন্ডার ফেটে আগুন ধরেছে। জানেন, আমার রোগীর অবস্থা ভাল নয়। কোনও রকমে বাইরে বার করে তাঁকে রাস্তায় শুইয়ে রেখেছি।’’
আগুন আতঙ্ক গোটা হাসপাতাল জুড়ে। ধোঁয়া ঢুকতে শুরু করেছে বিভিন্ন ওয়ার্ডে। অঘটন ঘটার আগেই রোগীদের বাইরে বার করার কাজ শুরু হয়। কিন্তু, পর্যাপ্ত স্ট্রেচার কই? সেখানেও বিপত্তি। শেষে জরুরী বিভাগ থেকে মুহূর্ষু রোগীদের পাঁজাকোলা করে বা চাদরের শয্যায় তড়িঘড়ি হাসপাতাল চত্বরের বাইরে আনার কাজ শুরু করেন হাসপাতাল ও দমকল কর্মীরা। হাত লাগান এলাকার বাসিন্দা ও রোগীর পরিজনেরাও।
Be the first to comment