মারা যাচ্ছে একের পর এক বাঘ। স্বাভাবিক মৃত্যু নাকি খুন? বন দফতরের আধিকারিকরা কি জড়িত এর সঙ্গে? এরকম একাধিক প্রশ্নের কিনারা করার জন্য তদন্তের দায়িত্বভার পেল সিবিআই।
সূত্রের খবর, উত্তরাখণ্ডের এই ঘটনায় চোরাশিকারীরা জড়িত রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে। সিবিআই বেশ কয়েকটি দল গঠন করেছে মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখার জন্য। আগামী তিন মাসের মধ্যেই তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় সংস্থাটি গত পাঁচ বছরে জোসিমঠ, রাজাজি ন্যাশনাল পার্ক, করবেট টাইগার রিজার্ভ, পিথোরাগড়, আলমড়া, হালদোয়ানি, কুমায়ুন রেঞ্জের সংরক্ষিত এলাকায় কীভাবে বাঘের মৃত্যু হলো তা জানার চেষ্টা করবে।
গত ৪ সেপ্টেম্বর উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট এই বিষয়ে একটি প্রাথমিক তদন্তের নির্দেশ দেয়। রাজ্যজুড়ে চলা এই ঘটনায় কারা জড়িত, কারা এই বিষয়ে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত না হলেও মদত দিয়েছেন? দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার বা আধিকারিকরা ছাড়া বনদফতরের আধিকারিকেরা এর সঙ্গে জড়িত কি না সে বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। এর পাশাপাশি আগামী তিন মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আদালতে পেশ করার নির্দেশও দেয় উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট।
সেখানকার নৈনিতাল বেঞ্চ ২০১৬ সালের মার্চ মাসে হরিদ্বারে পাঁচটি বাঘের চামড়া উদ্ধার হওয়ার পর একটি প্রাথমিক তদন্তের নির্দেশ দেয়। বাঘগুলি করবেট টাইগার রিজার্ভ এবং তার সংলগ্ন অঞ্চলের ছিল এমনটাই অনুমান। এ দিকে ধিকালা অঞ্চলে বাণিজ্যিক যানবাহন নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করল কোর্ট। বাঘ দেখার জন্য এই জায়গাটি পর্যটকদের কাছে বিশেষ জনপ্রিয় ছিল।
করবেটে প্রায় ২৪০ টি বাঘের বাড়ি। প্রতিদিন প্রায় ১৮০টি গাড়ি পর্যটকদের নিয়ে যেত বাঘ দেখাতে। বছরে প্রায় ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ সেখানে আসেন। যার সঙ্গে প্রায় ৯ লক্ষ টাকার ব্যবসা জড়িয়ে রয়েছে। তাই এই অঞ্চলে যানবাহনের প্রবেশ নিষেধ হওয়ায় তার প্রভাব পর্যটনের উপর পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
Be the first to comment