লড়াই ছিলো বিজেপির আইটি সেলের, লালবাহাদুর শাস্ত্রী কে দেশের মানুষের কাছে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর থেকে উঁচুতে তুলে ধরার। অনেককেই দেখলাম তারা অভিমত জানাচ্ছে এবার বাপুর থেকে শাস্ত্রীর জনপ্রিয়তা বেশী সোস্যাল মিডিয়ায়। অদ্ভুত এক লড়াই মহান নেতা আর তার ভাবশিষ্যর মধ্যে বাধিয়ে, গান্ধীর হত্যার দায় নিজেদের তরফ থেকে ঝেড়ে ফেলার।
এতো কিছুর পরেও রাজধানী সরগরম আর সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল কিছু ছবি। উদ্ধত বন্দুকের নলের সামনে ইঁট তুলে পাল্টা দেওয়ার প্রচেষ্টা কিংবা পুলিশের লাঠির সামনে চাষীর দল। গান্ধীজয়ন্তীর দিনে একদল কৃষক তাদের প্রতি আমি যতই সহানুভূতিশীল বলে দেখাই না কেনো, রাষ্ট্রযন্ত্র কে বেগ দেবে রাজধানীতে এসে তা রাষ্ট্রের না পসন্দ। তাই দেশের সাদামাটা চাষীরা যারা “কৃষককল্যান” সভায় কোনো কল্যানের চিহ্ন না পেয়ে নিজেদের ফসলের নায্যদাম, সেচের সুবিধা, কৃষিঋন প্রভূত দাবীতে, যা দেশের দাবী একত্রিত হওয়ার চেষ্টা করছিল। তখন আগের বহু উদাহরণ এর মতোই রাষ্ট্রযন্ত্রের বাধার সামনে পড়তে হয় এবং এ লড়াইয়ে এবারও বাজিমাত দেশের। সাধারন চাষীরা দিল্লি প্রবেশের অনুমতি পায় এবং আন্দোলন প্রত্যাহার করে। তবে ২০১৯ এর আগে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে “আচ্ছে দিন” না আসায়, নোটবন্দীর কষ্টের ফলে “১৫ লক্ষ টাকা জনধন অ্যাকাউন্টে” না আসায় দেশ আশাহত, তা ঘটনাক্রমে ক্রমশ পরিস্কার।
Be the first to comment