ভারতের অন্যতম দর্শনীয় স্থান পুরির জগন্নাথ মন্দিরে। সারা বছরই এই মন্দিরে ভক্ত সমাগম ঘটে। উৎসব-পার্বণ ছাড়াও মন্দিরে আসেন প্রচুর দর্শণার্থী। আর আগত দর্শণার্থীদের সুবিধার জন্য মন্দিরে বসানো হয়েছিল বিশেষ সিস্টেম। ভক্তদের কারোর যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেই কথা মাথায় রেখেই মন্দিরে বসানো হয়েছিল উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা।দর্শনার্থীরা যাতে শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেন এবং পুজো দিতে পারেন সেই উদ্দেশ্যেই বসানো হয়েছিল এই বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কিন্তু কয়েক হাজার দর্শনার্থীদের তাণ্ডবে নষ্ট হয়ে গিয়েছে এই সিস্টেম। চালু করার একদিনের মধ্যেই মেয়াদ ফুরিয়েছে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থার। বুধবার এই বিক্ষোভ ভয়াবহ আকার নেয় বলেই জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
নিরাপত্তার কারণে তৈরি করা হয়েছিল ব্যারিকেড। কিন্তু কয়েকহাজার দর্শনার্থীদের তাণ্ডবে মুহূর্তের মধ্যেই তা ভেঙে গিয়েছে। মন্দিরের অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিসেও ভাঙচুর চালায় উন্মত্ত জনতা। মন্দির কর্তৃপক্ষে অভিযোগ, দর্শণার্থীদের ভিড়ে মিশেছিল শ্রী জগন্নাথ সেনা দলের কর্মীরা। মূলত তারাই ভাঙচুর চালিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে বলে অভিযগ তুলেছেন জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ করে অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। পুড়িয়ে দেওয়া হয় গাড়ির টায়ার। সাংবাদিকদের উপরেই হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে শ্রী জগন্নাথ সেনা দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও উত্তেজিত জনতা হামলা চালিয়েছে মন্দিরের কোষাধ্যক্ষ মহেশ্বর মহান্তির বাড়িতেও। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। আর তাতেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
Be the first to comment