শেষরক্ষা হল না। ধরা পড়ে গেল কুখ্যাত আসামি কর্ণ বেরা। পালানোর এক ঘণ্টার মধ্যেই কর্ণকে গ্রেফতার করল কাঁথির পুলিশ। এলাকার একটি বাড়ি থেকে পাকড়াও করা হয় তাকে। মোটর বাইকে করে পালানোর সময় পড়ে গিয়েছিল ওই দুষ্কৃতী। তাকে ফেলেই বাকিরা ততক্ষণে এলাকা ছাড়া। বাধ্য হয়ে গা ঢাকা দিতে এলাকার একটি বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল ওই দুষ্কৃতী। তারপর পুলিশের তল্লাশিতে ধরা পড়তে আর বেশিক্ষণ লাগেনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কাঁথি আদালত চত্বরে পুলিশকে বোমায় ঘায়েল করে ডাকাতি ও একাধিক খুনের আসামি কর্ণ বেরাকে ছিনতাই করে নিয়ে গিয়েছিল তার সঙ্গীরা। দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমায় জখম হন ৬ জন পুলিশ কর্মী। তাঁদের কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
একাধিক ডাকাতি ও খুনের মামলা রয়েছে কর্ণর বিরুদ্ধে। গত বছর মহিষাদলে ডাকাতির উদ্দেশ্যে দলবল নিয়ে জড়ো হয়েছিল কর্ণ। সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে টহলরত পুলিশ তাদের তাড়া করলে গুলি ছোড়ে কর্ণ। মৃত্যু হয় এক পুলিশকর্মীর। সেই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই মেদিনীপুর জেলে বন্দি ছিল সে। ডাকাতির মামলায় জেলে ছিল তার সাগরেদ মুন্নাও।
এ দিন বেলা বারোটা নাগাদ শুনানির জন্য কাঁথি আদালতে নিয়ে আসা হয়েছিল কুখ্যাত অপরাধী কর্ণ বেরা ও তার সঙ্গী মুন্নাকে। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগে আচমকাই মোটর সাইকেলে আসা কয়েকজন দুষ্কৃতী আদালত চত্বরে বোমাবাজি শুরু করে। বোমার ঘায়ে লুটিয়ে পড়েন কর্ণ ও মুন্নাকে যাঁদের পাহারায় আদালতে আনা হয়েছিল সেই পুলিশকর্মীরা। তারপরেই ওই দুই দুষ্কৃতীকে মোটরবাইকে চাপিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করে ওই দুষ্কৃতীরা। কিন্তু কর্ণ যে মোটরবাইকে উঠেছিল সেটি খারাপ হয়ে যাওয়ায় হতচকিত হয়ে পড়ে তারা। কিছুক্ষণ ছোটাছুটির পর দুষ্কৃতীদের অন্য মোটরবাইকটিতে ওঠার চেষ্টা করলে পড়ে যায় সেটির থেকেও। ফলে ছুটে গিয়ে এলাকাতেই একজনের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। সেখান থেকেই তাকে ফের গ্রেফতার করে পুলিশ। মুন্না সহ অন্য দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
এ দিকে বোমায় জখম ছয় পুলিশকর্মীকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে। তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, মাথায় আঘাত লেগেছে তাঁদের।
Be the first to comment