২০১২’র পর ২০১৪’র টেটেও মুখ পুড়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। আবারও স্বচ্ছতা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সাতটি প্রশ্নে ভুলভ্রান্তি রয়েছে বলে জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার, বিশেষজ্ঞ কমিটির চূড়ান্ত রিপোর্ট দেখে, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় টেট মামলার রায়ে বলেছেন, সম্পূর্ণ ভুল প্রশ্নে মামলাকারীরা উত্তর দিলেই পুরো নম্বর পাবেনবাকি ছটি প্রশ্নের যেগুলিকে বিশেষজ্ঞ কমিটি সঠিক উত্তর বলেছেন, মামলাকারীদের যাঁরা সেই উত্তরই দিেয়ছেন, তাঁরা পুরো নম্বর পাবেন।প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে মামলাকারীদের কেউ টেটে উত্তীর্ণ হলে তাঁদের নিয়োগের পরবর্তী ধাপে সুযোগ দিতে হবে। পরবর্তী ধাপেও উত্তীর্ণ হলে চাকরিও দিতে হবে। এই প্রক্রিয়া তিন মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার প্রাথমিক টেট নিয়ে আদালতের নির্দেশ পর্যালোচনায় বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ৷ প্রাথমিকে কোন কোন প্রশ্নে ভুল তা জানতে প্রাথমিক পর্ষদের সঙ্গে বৈঠক করেন ৷ আদালতের নির্দেশ নিয়ে রাজ্যের সিদ্ধান্ত কী? তা নিয়েও বৈঠকে পর্যালোচনা শিক্ষামন্ত্রীর ৷ ভুল প্রশ্নপত্র নিয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে পারে শিক্ষা দফতর ৷
‘প্রশ্নপত্রে ভুল আগে কেন নজরে এল না?’ পর্ষদকে সভাপতিকে প্রশ্ন শিক্ষামন্ত্রীর ৷ ‘আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল’, বৈঠকে বললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷ প্রশ্নপত্র নিয়ে বৈঠকে পাল্টা যুক্তি দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার রাস্তা খোলা রাখছে রাজ্য ৷ হাইকোর্টের রায়ের কপি এলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে স্কুলশিক্ষা দফতর ৷ প্রাথমিক টেট ২০১৫-এর কয়েকটি প্রশ্নে ভুল রয়েছে বলে গতকালই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট ৷
Be the first to comment