নূন্যতম ব্যালেন্স না থাকায় ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে আয় প্রায় ৩,৫৫১ কোটি টাকা। গ্রাহকদের কাছ থেকে এই টাকা আদায় করেছে পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কগুলি। ২০১৪-১৫ থেকে এখন পর্যন্ত এই খাতে আয় প্রায় ১১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে রয়েছে আইসিআইসিআই, অ্যাক্সিস এবং এইচডিএফসি ব্যাঙ্কও। এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে একাই ফাইন বাবদ আয় করেছে ২৫০০ কোটি টাকা। আর বেসরকারি ব্যাঙ্কের শীর্ষে রয়েছে এইটডিএফসি ব্যাঙ্ক। সংস্থাটি আয় করেছে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। কিন্তু এর ফলে যে মানুষের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে তা বুঝতে পারছে ব্যঙ্কগুলিও।
বিশেষ করে ২০১৫ সালে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নূন্যতম ব্যালেন্সের নির্দেশিকা কার্যকরী হওয়ার পর থেকও অসন্তোষ বাড়ছে। অন্যদিকে বিরূপ প্রভাব পড়ছে ব্যাঙ্কগুলিতেও। অ্যাকউন্টে নূন্যতম ব্যালেন্স রাকার প্রবণতা বাড়লেও দীর্ঘমেয়াদি ফিক্সড ডিপোজিটে আগ্রহ কমছে মানুষের। ঝুঁকি সত্ত্বেও আগ্রহ বাড়ছে মিউচুয়াল ফান্ড ইনভেস্টমেন্টের দিকে। সম্প্রতি স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের পরিমাণ সামান্য বাড়লেও মানুষকে ব্যাঙ্কমুখী করা যাচ্ছে না। ফলে নগদের অভাবে পড়তে হচ্ছে ব্যাঙ্কগুলিকে। এমনটাই মনে করছেন আর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এমনকি বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই দিল্লিত বৈঠকে বসেছেন সরকারি ব্যাঙ্কের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের আরও দাবি, বড়বড় ঋণগ্রাহীতাদের কাছে ব্যাঙ্কগুলির সম্মিলিত পাওনা ১০ লক্ষ কোটি টাকা। এই ঋণের পুরোটাই অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত হচ্ছে। সেখানে বাড়তি আয় বলতে নূন্যতম ব্যালেন্স না রাখার জরিমানা। এই পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে নগদের সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
Be the first to comment