রূপকথার গল্পকেও হার মানায় এই ঘটনা!
২৫ বছর ধরে খোঁজ ছিল না তাঁর। অনেক খোঁজার পরেও হদিশ মেলেনি। পরিজনরা ধরে নিয়েছিল তিনি আর নেই। মা নেই জেনেই বড় হয়েছে ছেলে। কিন্তু নিরুদ্দেশ থাকার ২৫ বছর পর উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরের বাড়িতে ফিরলেন গীতারানি দাস। সৌজন্যে কেরলের একটি এনজিও।
তরুণী অবস্থায় ওড়িশায় গৃহ-সহায়িকার কাজ করতেন গীতা। সেখানেই ভালবাসা করে বিয়ে করেন এক যুবককে। সালটা ১৯৯৩। সন্তান হয় ওই দম্পতির। একবার মা আর ভাইয়ের সঙ্গে ছোট্ট সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়ি আসার সময় গাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান গীতা। তারপর আর খোঁজ মেলেনি তাঁর।
কোনওভাবে কেরলে পৌঁছে যান গীতা। সেই সময় তাঁর মানসিক স্থিতি ছিলনা বলেও জানা গেছে। তারপর দক্ষিণের রাজ্যটিতেই থাকা। সেখানেও সেই একই গৃহ-সহায়িকার কাজ। এর মধ্যেই একটি এনজিও গোটা ব্যাপারটি জানতে পারে তাঁর থেকে। এর মধ্যে মানসিক স্থিতিও ফিরে আসে তাঁর। মনে করতে পারেন অতীত। ওড়িয়া ভাষা ভুলে গেলেও হিন্দি এবং মালায়লম ভাষা বলতে পারেন এখন।
[10/5, 10:00 AM] Ashis Rojdin: সেই এনজিও-এর উদ্যোগেই ঘরে ফেরেন গীতা। সেই মা হারানো ছোট্ট ছেলেটা মাকে ফিরে পেল ২৬ বছর বয়সে। এখন সে-ও বিবাহিত।
২৫ বছর পর ঘরে ফিরেছে মেয়ে। উৎসবে মাতল গাজিপুর।
Be the first to comment