নির্দিষ্ট দিন পেরিয়ে গেলেও সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা মামলায় হলফনামা দিতে পারল না সরকার। কারণ? সেই ফাইলই নাকি নিরুদ্দেশ!
জোর ধাক্কা খেয়েছিল রাজ্য সরকার। স্টেট অ্যাডমেনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (স্যাট) বলেছিল মহার্ঘভাতা (ডিএ) সরকারের ইচ্ছে হলে দেবে না হলে নয়। এটা রাজ্যসরকারি কর্মচারীদের অধিকার নয়। মামলা টেনে নিয়ে হাইকোর্টে গেছিল কর্মচারী সংগঠন। অনেকের মতে, সেই মামলার রায়ে হাত পুড়েছিল রাজ্য সরকারের। হাইকোর্ট বলেছিল, ডিএ সরকারি কর্মচারীদের হক। এটা দয়ার দান নয়। কিন্তু কত শতাংশ ডিএ দেওয়া হবে, কবে দেওয়া হবে এইসব খুঁটিনাটি বিষয় ঠিক করবে স্যাট। দু’মাসের সময় সীমা বেঁধে গত ৩১ অগস্ট ডিএ মামলা ফের স্যাটের বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয় হাইকোর্ট।
স্যাটের বিচারপতি আর কে বাগ এবং সুবেশ দাসের বেঞ্চ মামলার শুনানি করে সরকারকে ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দেয়। সেই সঙ্গে বলা হয় সরকারের হলফনামার ভিত্তিতে মামলাকারী সংগঠনকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে। মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল বৃহস্পতিবার।
কিন্তু নির্দিষ্ট দিনে হলফনামা জমা দেয়নি সরকার। ফলে মামলাকারীদেরও তার ভিত্তিতে যে হলফনামা জমা দেওয়ার কথা ছিল তা হয়নি। এ নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলেছেন কর্মচারী সংগঠনের আইনজীবী সর্দার আমজাদ আলি। আর সরকার জানিয়েছে ডিএ মামলার ফাইল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। স্যাট জানিয়েছে আগামী ১৪ নভেম্বর ডিএ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
সরকারের এমন কাণ্ড দেখে বিরোধীদের অনেকেই বলছেন, সত্য সেলুকাস কী বিচিত্র এই দেশ, ডিএ মামলার ফাইলও নাকি হলো নিরুদ্দেশ!
Be the first to comment