এক মাসের মধ্যে পর পর তিনবার ঝাড়গ্রামের তিনটি কালী মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটল। তল্লাশি চালিয়ে এখনও পর্যন্ত চোরের টিকিটিরও সন্ধান পায়নি পুলিশ। খোয়া গেছে প্রায় লক্ষাধিক টাকার সোনার ও রূপোর গয়না।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে ঝাড়গ্রাম শহরের বহু প্রাচীন একটি মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটে। প্রায় ২০০ বছরের পুরনো শ্মশান কালীর মন্দির সেটি। দেবী মূর্তি সমস্ত সোনার ও রূপোর গয়না খুলে নিয়ে গেছে চোরেরা। শনিবার সকালে এলাকার বাসিন্দারা দেখেন মন্দিরের লোহার দরজা ভাঙা। প্রতিমার গায়ে একটিও অলঙ্কার নেই।
মন্দিরের প্রধান পুরোহিত জানিয়েছেন, মায়ের মাথার রূপোর মুকুট, রূপোর খড়্গ, রূপোর মুণ্ডমালা-সহ সমস্ত গয়না উধাও হয়েছে। স্থানীয়েরাই খবর দেন মন্দির কমিটির সদস্যদের। খবর যায় পুলিশের কাছেও। পুলিশ জানিয়েছে, মন্দিরের দু’টো লোহার দরজা রয়েছে। দু’টোরই তালা ভেঙেছে চোরেরা। মন্দিরের ভিতরে একটি আলমারিতেও দেবীর সোনার ও রূপোর গয়না রাখা থাকত। কালী পুজোর সময় সেগুলি দেবীকে পরানো হত। আলমারির তালা ভেঙেও সে সব বহুমূল্য গয়না নিয়ে চম্পট দিয়েছে চোরেরা।
মন্দির কমিটির সম্পাদক মনিশঙ্কর দাস বলেছেন, প্রায় পনেরো ভরি সোনার গয়না ও পাঁচ কিলোগ্রাম রুপোর গয়না ছিল আলমারিতে। এ ছাড়াও মায়ের সারা শরীরের গয়না মিলিয়ে প্রায় দশ লক্ষ টাকার গয়না চুরি হয়েছে । মন্দিরে কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো নেই। কাজেই অপরাধীদের চিহ্নিত করা যায়নি।
এই ঘটনার কিছুদিন আগেই লালগড়ের চন্দ্রপুরে একটি কালী মন্দিরে চুরি হয় । খোয়া যায় প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার গয়না। তার দিনকয়েকের মাথায় চুরি হয় বিনপুরের আরও একটি কালী মন্দিরে। প্রায় কুড়ি থেকে পঁচিশ ভরি সোনার গয়না-সহ সাত কিলোগ্রাম রুপোর গয়না চুরি হয়ে যায়। চুরির ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। পথ অবরোধও করে স্থানীয়রা।
পর পর তিনটি চুরির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাওকে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে অপরাধীদের দ্রুত ধরে ফেলা যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
Be the first to comment