রাজ্যে বহিরাগত শ্রমিক বরদাস্ত নয়, এই হুঁশিয়ারি দিয়েই গুজরাতে উদ্বাস্তুদের তাড়ানোর প্রক্রিয়া বেশ কিছুদিন ধরে চলছে। গান্ধীনগর, আহমেদাবাদ, পাটান, সবরকান্থা, মেহসানা জেলায় বহিরাগত শ্রমিকদের উপর চড়াও হচ্ছে ঠাকুর সম্প্রদায়ের মানুষদের একাংশ।
ঘটনার সূত্রপাত ২৮ সেপ্টেম্বর। একটি ১৪ মাসের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয় বিহারের শ্রমিক রবিন্দর সাউ। এরপরই পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে ওঠে। বিভিন্ন জেলায় কর্মরত বহিরাগত শ্রমিকদের উপর চড়াও হয় ঠাকুর সেনার কর্মীরা। উত্তরপ্রদেশ ও বিহার থেকে আসা শ্রমিকদের টার্গেট করে এখনও চলছে উৎখাত অভিযান। গত ২ দিনে বিভিন্ন জেলা থেকে মোট ১৮০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পাঁচ জেলা-সহ গুজরাতের বিভিন্ন জায়গায় আপাতত উত্তপ্ত পরিস্থিতি, মোতায়েন হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। তবে, ঠাকুর সেনাদের গ্রেফতারের প্রতিবাদ করেছেন কংগ্রেস বিধায়ক ও ঠাকুর সেনা প্রেসিডেন্ট অল্পেশ ঠাকুর। তাঁর অভিযোগ, প্রমাণ ছাড়াই ১৮০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ঠাকুরদের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ উঠিয়ে নেওয়ার দাবি তুলেছেন অল্পেশ। অবশ্য, পুলিশের পাল্টা দাবি, ঠাকুরদের দৌরাত্ম্যের বেশ কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ জমা পড়েছে। পাঁচ জেলায় সবমিলিয়ে ৫০০ এফআইআর জমা পড়েছে, কড়া হাতেই পরিস্থিতির মোকাবিলায় গুজরাট পুলিশ।
সবরকান্থা জেলায় যে ১৪ মাসের শিশুর ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, সে ঠাকুর পরিবারের। সেই কারণেই ঠাকুর সেনার রোষে মুখে বহিরাগত শ্রমিকরা। প্রতিশোধ নিতেই বহিরাগত শ্রমিকদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে ঠাকুর সেনা। প্রশাসন বিরোধিতা করলেও এখনও পর্যন্ত তারা বেপরোয়া ।
Be the first to comment