৫ রাজ্যে বেজে গেলো নির্বাচনী দামামা, জোর কদমে ভোটের প্রচারে নেমে পড়লেন মোদী-রাহুল

Spread the love
শনিবারের বার বেলাতেই সাংবাদিক বৈঠক করে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তার আগেই যুযুধান দুই পক্ষ তাদের তারকা বক্তা দিয়ে ভোট প্রচার শুরু করে দিল এ দিন।
প্রায় একই সময়ে রাজস্থানের বিরাট সমাবেশে বক্তৃতা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর মধ্যপ্রদেশের মাটি থেকে ভোট প্রচার সারলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। বছরের শেষেই ভোটগ্রহণ হবে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগড়, তেলেঙ্গানা এবং মিজোরামে। পর্যবেক্ষকদের মতে, এই ভোটেই ট্রেন্ড বোঝা যাবে উনিশের ভোটে কী হতে চলেছে।
এদিনের সমাবেশ থেকে তাঁর সরকারের কর্মসূচিকেই তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত চার বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের জনমুখী কর্মসূচি রূপায়নের মাধ্যমে মানুষের জীবন যাত্রার মান অনেকটা উপরের দিকে উঠেছে বলেও দাবি করেন মোদী। তাঁর কথায়, জিরো ব্যালেন্সে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সারা দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার খোলনলচে পাল্টে দিয়েছে। সরকারের ঢাক পেটানোর পাশাপাশি কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে ভোলেননি মোদী। মাথায় লাল-হলুদ পাগড়ি বেঁধে রাজস্থানের সমাবেশে মোদী বলেন, “কংগ্রেসের হাইকম্যান্ড মানে একটা পরিবার। আর আমাদের হাইকম্যান্ড মানে রাজস্থানের সাড়ে সাত কোটি জনতা।”
মধ্যপ্রদেশের সমাবেশ থেকে কংগ্রেস সভাপতিও তাঁর বক্তৃতায় চাঁছাছোলা আক্রমণ শানান কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। মোদীকে নিশানা করে রাহুল বলেন, “গত চারে বছরে দিল্লির সরকার ডায়লগ দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করেনি। বিজয় মালিয়া বিজয় মালিয়া ব্যাঙ্ক থেকে ৯ হাজার কোটি টাকা লুঠ করলেন। দেশ ছেড়ে পালানোর আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী চুপ করে বসে রইলেন। কোনও গোয়েন্দা, কোনও পুলিশকে সতর্ক করলেন না।” নোটবন্দি নিয়েও তোপ দাগেন রাহুল। তাঁর কথায়, “নোট বাতিল আসলে কালো টাকাকে সাদা করার সরকারি কর্মসূচি ছিল।”
কংগ্রেস, বিজেপি দু’দলের কাছেই রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগড়ের নির্বাচন কার্যত সেমি ফাইনাল। এই তিন রাজ্যেই বিজেপি এবং কংগ্রেস কোনও দলের সঙ্গে জোট করছে না। ফলে লড়াই সেয়ানে সেয়ানে। পর্যবেক্ষকদের মতে, কংগ্রেস যদি এই ভোটে ফলাফল ভাল করতে পারে, তাহলে বিরোধী রাজনীতির আঙিনাতেও কংগ্রেস অনেকটা ভাল জায়গায় চলে যাবে।
দিওয়ালির পরেই ভোট এই পাঁচ রাজ্যে। গত বৃহস্পতিবার রাজস্থানের সিকারে সমাবেশ করতে গিয়ে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ কর্মীদের উদ্দেশে বলে এসেছিলেন, “দিওয়ালির বাজি-পটকা জমিয়ে রাখবেন। কারণ ভোটে জেতার দিন আবার দিওয়ালি উদযাপন করতে হবে।” কিন্তু দুর্গা পুজোর আগেই শুরু হয়ে গেল মেগা ভোট প্রচার।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*