ফের যৌন হেনস্থার শিকার স্কুল ছাত্রীরা। ফের ঘটনাস্থল পুণের পিম্প্রি। একটি বেসরকারি স্কুলের সাত জন স্কুল পড়ুয়াকে লাগাতার হেনস্থার করার অভিযোগ উঠল স্কুলেরই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। নাম জড়াল আরও দুই শিক্ষকের। তিন জনকেই আটক করেছে পুলিশ।
পিম্প্রি থানার শীর্ষ আধিকারিকের কথায়, দীর্ঘদিন ধরেই পড়ুয়াদের নিজের ঘরে ডেকে এনে নানা বাবে হেনস্থা করতেন প্রধান শিক্ষক। পুলিশকে এমনটাই জানিয়েছে ওই ছাত্রীরা। তাদের অভিযোগ, পড়া দেখানোর নাম করে স্টাফ রুমে ডেকে পাঠাতেন প্রধান শিক্ষক। তার পর নানা অছিলায় তাদের শরীরে হাত দেওয়ার চেষ্টা করতেন।
প্রধান শিক্ষকের পাশাপাশি পড়ুয়াদের শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠেছে আরও দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, মা, বাবার সঙ্গে থানায় এসে শিক্ষকদের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে সাত জন ছাত্রী। ওই স্কুলেরই আরও কোনও পড়ুয়া শিক্ষকদের লালসার শিকার হয়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনেক সময় ভয় এবং লজ্জায় কিশোরীরা তাদের উপর হওয়া অত্যাচারের ঘটনা চেপে যায়। সমস্ত ছাত্রীদের অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে পকসো আইন-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ঘটনার বিষয় লুকিয়ে রাখার জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে আরও চারজন শিক্ষককে। এর আগেও পিম্প্রি-চিনচওয়াড় এলাকার একটি স্কুলে ছাত্রীর হেনস্থার ঘটনা সামনে এসেছিল। পুলিশ জানিয়েছে, স্কুলগুলিতে ছাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়ে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে। নিয়মিত কাউন্সেলিং, ছাত্রীদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলাটা খুবই জরুরি। না হলে এমন ঘটনা বাড়তেই থাকবে।
Be the first to comment